এবার বীরভূমে সিভিল ডিফেন্সের জন্য অত্যাধুনিক ব্যারাক নির্মাণ হতে চলেছে। তাতে বিপর্যয় মোকাবিলায় আরও গতি মিলবে। সিভিল ডিফেন্সের নানা অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ আছে। কিন্তু এই জেলায় সিভিল ডিফেন্সের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যারাক নেই। যা নিয়ে ভাবনা ছিল জেলা প্রশাসনের। এই ভাবনা থেকেই কদিন আগে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন পাঠানো হয়েছিল। তারপরই সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে জেলায় উন্নত মানের কিউআরটি ব্যারাক গড়ে তোলার সবুজ সংকেত মেলে। জেলা প্রশাসন এখন ব্যারাক গড়ে তোলার কাজ শুরু করে দিয়েছে। জমি খোঁজা হয়ে গিয়েছে। মাটির পরীক্ষাও শেষ হয়েছে।
বীরভূমে সিভিল ডিফেন্সের কাজে অত্যাধুনিক ব্যারাক গড়ে উঠলে তা আশেপাশের জেলাকেও সাহায্য করতে পারবে। এবার এই ব্যারাকের নির্মাণ করার কাজ শুরু হতে চলেছে। এই কিউআরটি ব্যারাক নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে গতি পাবে। বাংলায় বর্ষায় বিপর্যয় নেমে আসে। তখন বিপর্যয় মোকাবিলা করতে নামতে হয় বাহিনীকে। কিন্তু ব্যারাক না থাকলে দ্রুত উদ্ধারকাজ করা সম্ভব হয় না। এবার ব্যারাক হয়ে গেলে জরুরি পরিস্থিতিতে কন্ট্রোল রুম চালু করা যাবে। তাতে মানুষের উপকার হবে। সিউড়ি–১ ব্লকের আমাইপুর মৌজায় ৪৩ শতক জমি কিআরটি ব্যারাক গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট, পার্কিংয়ে নতুন কী ব্যবস্থা?
সামনেই বর্ষা আসছে। তাতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তবে এত তাড়াতাড়ি ব্যারাক গড়ে উঠবে না। একটু সময় লাগবে। পরের বছরের বর্ষার আগে কাজটি হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার ফলে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধা হবে। এই কিআরটি ব্যারাকে নাইট শেল্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সুতরাং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা রাতে এখানে থাকতে পারবে। ওই সিভিল ডিফেন্স ব্যারাকে ৪০ জনের থাকতে পারবে। তার জেরে নানা বিপর্যয়ে দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়া সম্ভব হবে।
এখন গ্রামোন্নয়ন শাখা প্রকল্পের অফিস সংলগ্ন সরকারি ভবনে সিভিল ডিফেন্সের গুদাম আছে। কিন্তু তা দিয়ে বিপর্যয় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কার্যত অসম্ভব। বরং ব্যারাক থাকলে তা দ্রুত ঠেকানো যায়। ব্যারাক হয়ে গেলে সেখানেই সব থাকবে। আর প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ মজুতও করে রাখা যাবে। আর বিপর্যয় মোকাবিলায় নিযুক্ত কর্মীরা রাতে থাকলে সমস্যা মোকাবিলা করা অনেক সহজ হবে। কোনও ঘটনা ঘটলে দ্রুত কাজ করতে পারবে। তাতে অনেকটা সময় বাঁচবে। তাই বীরভূমেই সিভিল ডিফেন্সের জন্য অত্যাধুনিক ব্যারাক নির্মাণ করা হচ্ছে।