৭ মে মধ্যরাতে অপারেশন সিঁদুরের পর একদিকে যেমন দেশজুড়ে শুরু হয়েছে উল্লাস, তেমনি সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও কড়া নজরদারি শুরু করেছে বিএসএফ। সড়কপথে সাইকেল, বাইক, গাড়ি নিয়ে এবং নদীপথে স্পিড বোটের মাধ্যমে বিএসএফের জওয়ানরা লাগাতার টহল দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আবার সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ড্রোন উড়িয়েও সীমান্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি নেপাল, ভুটান সীমান্তেও নজরদারি বাড়িয়েছে এসএসবি এবং পুলিশ।
আরও পড়ুন: সোশাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী পোস্ট করলেই ভুগতে হবে! বুধের বৈঠকে কী কী নির্দেশ শাহের?
সাধারণত, পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে ২২১৭ কিলোমিটার। এরমধ্যে বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে ৯৩২.৩৯ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে।এরমধ্যে মেখলিগঞ্জ, শিলিগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর সহ মালদার কিছু সীমান্ত রয়েছে, যা উন্মুক্ত। সেইসব এলাকায় বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে বিএসএফ। এই উন্মুক্ত সীমান্তগুলির মধ্যে কিছু এলাকায় নদী প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
গোয়েন্দাদের আশঙ্কা অপারেশন সিঁদুরের পর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নাশকতামূলক কাজ করতে পারে পাক জঙ্গিরা। সেই কারণে এই সমস্ত এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে বিএসএফ। এরজন্য যেমন পায়ে হেঁটে বিএসএফ জওয়ানরা টহল দিয়ে বেড়াচ্ছেন, তেমনি বাইকে, সাইকেলে অথবা গাড়ি ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি নদীপথে ব্যবহার করা হচ্ছে স্পিড বোট। এছাড়াও যেসব উন্মুক্ত সীমান্তে নদী রয়েছে সেখানেও বাড়ানো হয়েছে টহলদারি। ফাঁসিদেওয়া সীমান্তের চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায়, মেখলিগঞ্জ বা হলদিবাড়ি সীমান্তে সন্দেজনক কাউকে দেখলেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে বিএসএফ সূত্রের খবর।
এদিকে, সীমান্ত সংলগ্ন যেসব গ্রাম এবং শহর রয়েছে সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় এবং শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার রাস্তায় পুলিশ নাকা তল্লাশি চালাচ্ছে। সমন্বয় রেখে কাজ করছে পুলিশ এবং বিএসএফ। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে হিলি সীমান্ত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাতে। এর পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারে ভুটান ও শিলিগুড়ির নেপাল সীমান্তেও এসএসসি এবং পুলিশ নজরদারি বাড়িয়েছে। সীমান্তে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। কুমারগ্রাম, কালচিনি ও মাদারিহাটে আন্তর্জাতিক ভুটান সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সন্দেহজনক ব্যক্তি দেখলেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।