বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে জল্পনার মধ্যেই স্থানীয় কাউন্সিলরকে ফোন তৃণমূলনেত্রী। বরাহনগর পুরসভার কাউন্সিলর রঞ্♏জন পালকে ফোন করে মমতা বলেন, তোমাকে প্রার্থী করতে পারলাম না। তবে ভালো প্রার্থী দিয়েছি।
আরও পড়ুন: প্রচারে ব্যস্ত, ইডির ড🥀াকে সাড়♛া দিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন না মহুয়া মৈত্র
বরানগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন পাল জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁকে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে তিনি বলেন, ‘তোমাকে প্রার্থী করতে পারলাম না। তবে ভালো প্রার্থী দিয়েছি।’ তবে সেই প্রার্থী কে তা তিনি জানান🃏নি বলে দাবি রঞ্জনবাবু। তিনি বলেন, ‘নেত্রী যে প্রার্থীই দিন, আমরা সবাই একজোট হয়ে লড়াই করে তাঁকে জেতাব। আর এখানে বিজেপি যাকে প্রার্থী দিয়েছে তাকে আমরা প্রার্থী বলে মনেই করি না। আমরা একসঙ্গে লড়াই করে সৌগত রায়কে জিতিয়েছি। এখানে যিনি বিধায়ক ছিলেন তাঁকে জিতিয়েছি। এবারও আমাদেরই জয় হবে।’
বলে রাখি, বরানগর বিধানসভা উপ নির্বাচনে সজল ঘোষকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁর উত্তর কলকাতা কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দলবদল করে সজলের মুখের গ্রাস কেড়ে নেন তাপস রায়। এর পরই সজলকে বরাহনগরে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। একই ভাবে বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া থেকে হারের পর সেখানেই মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু টিকিট জোটেনি তাঁর ভাগ্যে। এর পরই তিনি অভিমানী বলে🐬 মুখ খোলেন অভিনেত্রী। পরের দিনই বলেন, যা বলার দলকে বলব। এর পরই জানা যায়, বরানগর থেকে সায়ন্তিকাকে প্রার্থী করতে চলেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়ে গেলেন শিক্ষ🌃া ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল
🧸ওদিকে বরানগর থেকে টিকিট পাওয়ার আশায় ছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সায়ন্তিকার নাম উঠে আসায় তিনি ব্যথিত বলে জানান শান্তনুবাবু। তিনি বলেন, দলের টিকিটের প্রত্যাশা কে না করে? কিন্তু চাহিদা থাকলেই তা পূরণ হবে তার মানে নেই। দলের স্বার্থ সব থেকে উপরে। টিকিট পাই বা না পাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক হিসাবে কাজ করব।
বিধায়ক তাপস রায়ের পদত্যাগে♛ খালি হয়েছে বরানগর কেন্দ্রটি। আগামী ১ জুন লোকসভা ভোটের সঙ্গেই সেখানে বিধানসভা উপ নির্বাচনেরও ভোটগ্রহণ হবে🐻 সেখানে। তার আগে প্রার্থী নিয়ে কোন্দল যে তৃণমূলকে ভাবাচ্ছে তা মোটের ওপর স্পষ্ট।