আর হাতে তিনদিন। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। তার প্রস্তুতি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন ফিনিশিং টাচ চলছে। রাত পোহালেই সোমবার দিঘায় এসে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী। প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারাও হাজির থাকবেন। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের প্রাক্কালেই জগন্নাথের থিম ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তুলেছেন চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা। বিশাল গেট থেকে শুরু করে ছোট আকারের আলোকসজ্জাও তুলে ধরা হয়েছে। আর অপরদিকে জনপ্রিয় ‘ঘিবলি আর্ট’ এআই ফিচারকে দুর্দান্তভাবে ফুটিয়ে তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে দিঘা জুড়ে বসানো হয়েছে আটটি বড় আলোকসজ্জার গেট। আলোকসজ্জায় রয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আদল থেকে শুরু করে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ধ্বজায় থাকা ধর্মচক্র। আর গেটের মাথায় আলোকসজ্জা দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে, জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রার আলোর মূর্তি। আবার ছোট আকারে মোট ৪৮টির বেশি জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার আলোর মূর্তি গড়ে তোলা হয়েছে। ২০২৫ সালের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক ইভেন্ট হিসেবে তুলে ধরেছে তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ডিজিটাল বিপ্লবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চিত্র ফুটে উঠেছে দলের সদস্যদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এআই দ্বারা তৈরি প্রোফাইল ছবিতেও।
আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশনে কার্যকর হচ্ছে এআই প্রযুক্তি, ফেস রিকগনিশন ক্যামেরাও বসাচ্ছে রেল
অন্যদিকে প্রত্যেকটি বাতিস্তম্ভে জগন্নাথদেবের তিলক, বলরামের লাঙল, ধ্বজায় থাকা চক্র এবং আরও নানান নতুন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে আলোকসজ্জার মাধ্যমে। এই কাজ নিয়ে চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের কাছে নবান্নের একটা পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছিল। সেটাকেই আলোকসজ্জার মাধ্যমে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সৈকত নগরীতে। আবার সারা রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রোফাইল ছবি বদলে নতুন জগন্নাথ মন্দিরকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে নিজেদের ছবি তুলে ধরেছেন। বসিরহাট দক্ষিণের ডঃ সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, বলাগড়ের মনোরঞ্জন ব্যাপারী এবং মুরারইয়ের মোসারফ হোসেন—সহ প্রায় ৫০ জন বিধায়ক এই বিশেষ ছবি ব্যবহার করেছেন।

এছাড়া ২২ একরেরও বেশি এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণে আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে মন্দিরের উদ্বোধন হবে। এখন নানা পুজো তথা আচারের কাজ সেখানে চলছে। যজ্ঞ থেকে শুরু করে কলস যাত্রা সবই হয়ে গিয়েছে। আলোকসজ্জা এখানে বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে চন্দননগরের আলোকশিল্পী জয়ন্ত দাস বলেন, ‘দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে আমাদের আলোকসজ্জার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। বাকিটা জনতার উপর ছেড়ে দিয়েছি। জগন্নাথকে স্মরণ করে আমরা কাজ শুরু করি। গত একমাসের পরিশ্রম এই আলোকসজ্জা গড়ে উঠেছে।’