দিঘার কাছে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, জাতীয় সড়কে অটোকে সজোরে ধাক্কা লরির, মৃত ৫

রাতের রাস্তায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের ১১৬ বি জাতীয় সড়কে। এই পথ দুর্ঘটনায় একসঙ্গে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। জাতীয় সড়কের মতো পথে এমন দুর্ঘটনা কেমন করে ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ট্রাফিক পুলিশ ছিল কিনা সেটাও এখন প্রশ্নের মুখে। সব মিলিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বুধবার রাতের পথ দুর্ঘটনায়। একটি অটোকে সজোরে ধাক্কা দিয়েছে লরি বলে একসঙ্গে ঘটনাস্থলেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, রাতের অন্ধকারে তীব্র গতিতে আসছিল লরি। কিন্তু সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে সজোরে একটি অটোতে ধাক্কা মারে। আর তার জেরেই তিনজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর ঘাতক লরিটির চালক এবং খালাসি পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পলাতক। এখন তাদের ধরা যায়নি। আর মৃতদের নাম—শেখ জাহাঙ্গীর আলি, হুমেরা খাতুন, আফসানা বিবি, মুনমুন খাতুন এবং শেখ মোতি। কেন এমন পথ দুর্ঘটনা ঘটল? চালক–খালাসি পালাল কেন? গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।আরও পড়ুন: ‘দুটি প্রসেসই চালু থাকবে’, চাকরিহারাদের নবান্ন থেকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রীস্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দকুমার যাচ্ছিল একটি অটো। তাকে পিছন দিক থেকে সজোরে ধাক্কা মারে লরি। পথ দুর্ঘটনা ঘটে ১১৬ বি জাতীয় সড়কের উপর ইড়িনঞ্চি সেতুর কাছে। শুধু তাই নয়, ধাক্কার এত তীব্রতা যে রাস্তার উপরই অটো উল্টে যায়। আর ওই অটোতে মোট আটজন যাত্রী ছিলেন। তবে লরি ধাক্কা মারতেই অটো থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়েন অনেকে। আহতদের তড়িঘড়ি তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দারুয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক লরিকে খেজুরি থানায় পাঠানো হয়েছে। লরির চালক ও খালাসির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।এছাড়া এই ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভও দেখান। কারণ জাতীয় সড়কে এমন ঢিলেঢালা ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়েই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই পথ দুর্ঘটনা নিয়ে খেজুরি থানার ওসি পলয় চন্দ বলেন, ‘গতকাল বেশি রাতে পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তারপর পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। আর গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সকলেই নয়াদিল্লিতে কর্মরত অবস্থায় ছিলেন। বুধবারই তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একসঙ্গে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।’