ভুয়ো ভোটার ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বাংলার রাজনীতিতে। সেই আবহে এবার শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত একটি ভোট সমীক্ষা সংস্থার নাম করে নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ধৃতরা পশ্চিম বর্ধমানের বরাকর এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের কাউন্সিলরই ‘ভূতুড়ে ভোটার’? চাকদাবাসী হয়েও রানাঘাটের তালিকাতেও নাম!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা কোথাও ভোট সমীক্ষক হিসেবে আবার কোথাও কেন্দ্রীয় সরকারি বলে হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছিলেন। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা পূর্ণ আবহে কেন তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কী তাঁরা এই কাজ করছিলেনে? তাঁদের উদ্দেশ্য কী তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বুধবার পাঁচমুড়া এলাকায় ওই পাঁচজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে চাইছিলেন তাঁরা। তা নিয়ে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপরে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কথাবার্তা অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হলে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা নিজেদের সঠিক পরিচয় পত্র দেখাতে পারেননি। তাঁরা তৃণমূলের একটি সমীক্ষা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করলেও সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য দেখাতে পারেননি। এরপরই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা লোকসভার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী জানান, তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত একটি ভোট সমীক্ষক সংস্থার নাম করে ওই দলটি বিভিন্ন এলাকায় সার্ভে করছিল। এর আগেও একাধিক এলাকায় একই কাজ করেছে। সেখানে আবার নিজেদের অন্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছে। ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন তাঁরা। এর পিছনে কাদের হাত রয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত করছে পুলিশ। একইসঙ্গে, বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন অরূপ। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ছদ্মবেশে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে গ্রামবাসীদের সজাগ থাকার বার্তা দিয়েছেন সাংসদ। অন্যদিকে, বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের দলের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত নন। গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।