তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলার প্রাক্তন সহ-সভাপতি তথা ইংরেজ বাজার পুরসভার কাউন্সিলর দুলালচন্দ্র সরকার ওরফে বাবলা খুনের তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল।পুলিশ। এবার পুলিশের জলে ধরা পড়ল এই খুনে অন্যতম অভিযুক্ত কৃষ্ণ রজক। সূত্রের খবর, বিহার পুলিশের সহযোগিতায় জেলা পুলিশ বিহার থেকে কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে। বাবলা সরকার খুনের প্রায় চার মাস পর গ্রেফতার করা হল কৃষ্ণ রজক। তাকে গ্রেফতারের জন্য রীতিমতো পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন: 'অনেক রকম খেলা চলে…' মালদায় খুন হওয়া বাবলা সরকারের বাড়িতে মমতা
বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক দুষ্কৃতীকে বিহার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই খুনে অন্যতম অভিযুক্ত কৃষ্ণ রাজক এবং বাবলু যাদব পলাতক ছিল। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তখন থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই দুজনের খোঁজ পেতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টার দিয়ে দু লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল জেলা পুলিশ। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে কৃষ্ণ রজক। তবে অন্য মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদব এখনও পলাতক। তার খোঁজ করছে পুলিশ। কৃষ্ণকে গ্রেফতারের ফলে এই খুনের ঘটনায় গ্রেফারির সংখ্যা ছড়াল ৮ জনের বেশি। কৃষ্ণ রজকের গ্রেফতারিতে এবার কী সামনে আসবে খুনের মূল কারণ? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনীতিতে। জানা ধৃতকে গ্রেফতারের পর আজ মালদা জেলা আদালতে তোলার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ঘটনার তদন্তে আরও তথ্য পেতে তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাতে পারে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি সকালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন বাবলা সরকার। ঘটনার দিন তিনি ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের প্লাইউড কারখানার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই বাইকে চেপে এসে তিন জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় একটি গুলি বাবলার মাথার কাছে লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাবলার মৃত্যুতে সেই সময় তীব্র আলোড়ন পড়ে যায় রাজনীতিতে। ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই কাউন্সিলর খুনের সঙ্গে জড়িতদের ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ।