সব তীর্থ বার বার গঙ্গাসাগর এ🤪কবার। তবে অনেকেই আছেন যাঁরা বার বার এই গঙ্গাসাগরের টানে ছুটে আসেন। ডানকুনি থেকে এসেছিলেন মাঝবয়সিদের একটি দল। দল বেঁধে গঙ্গাসাগর। তবে পূণ্ಞযস্নানের আগেই ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। আগেই ফিরে যাচ্ছেন?
প্রশ্ন করতেই হেসে ফেললেন সেই টিমের এক সদস্য। তিনি বলেন, মেলার সময় খুব ভিড় হয়। সেকারণে আগেভাগে ঘুরে গেলাম। আগে থেকে ঘর বুক করেছিলাম🥃 বলে কিছুটা খরচ কমেছে। ১০০০ টাকা করে দিতে হয়েছে একটা ঘরের জন্য। লঞ্চের ভাড়াও ডবল। 🌜স্থানীয়দের জন্য ৪০ টাকা আর তীর্থযাত্রীদের জন্য ৮৫ টাকা করে লাগছে।
দিল্লির অ𓂃বসরপ্রাপ্ত শিক্ষক থেকে এমবিএ পাশ করা কলকাতার তরুণী সব রাস্তা মিলেছে গঙ্গাসাগর🀅ে। কীসের টানে আসেন?
প্রশ্নের জবাব তো পরে। দিল্লির ওই টিমের পালটা প্রশ্꧟ন, দিদি এখানে ব্রিজ করবে শুনলাম। সেটা কবে হবে? কতদিন সময় লাগবে? তখন কি একেবারে গাড়িতে করে চলে আসা যাবে গঙ্গাসাগরে? গঙ্গাসাগরে ব্রিজ তৈরি পরিকল্পনার বিষয়টি কানে গিয়েছে ভিনরাজ্যের পূণ্যার্থীদের কাছেও। অত্যন্ত উৎসাহী তাঁরা গোটা বিষয়টি নিয়ে।
গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে অনেকেই বলেন, আগে এত কিছু ব্যবস্থা হত না। সাধুদের ছোট ছোট আখড়া বসত। অত্যন্ত কষ্ট করে মানুষ গঙ্গাসাগরে আসতেন। সেখানেই রান্না করে খাওয়া দাওয়া। হাড়কাঁপানো ঠান্ডার মধ্য়েই কোনও রকমে খড়ের উপর শুয়ে থাকা। তবে এখন অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। বিরাট বিরাট তাঁবু করেছে সরকার। সেখানে অন্তত মাথা গোౠঁজার ঠাঁইটা মিলছে।
রাজারহাট থেকে গিয়েছে একটি পরিবার। শ্বশুর, শাশুড়িকে নিয়ে গঙ্গাসাগরে এসেছেন বৌমা। সঙ্গে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ছাত্র। সেই পড়ুয়ার আবার গঙ্গাসাগরের তুলনায় রাজুদার পরোটার প্রতি বেশি টান। বার বার মা কে বলছে এখানে রাজুদার পরোটা কিন্তু খাওয়াতে হবে। আসলে কেউ আসেন ♎পূণ্যের টানে, কেউ নিছক বেড়াতে।