হাতে আর চারদিন। তারপরই দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। ইতিমধ্যেই সেখানে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে। যার জেরে এখন দিঘা জমজমাট। কোনও ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্যও বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একটি গান লিখে ফেলেছেন জগন্নাথদেবের উপর। অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হবে। এবার ঠিক তার প্রাক্কালে কবিতা লিখে ফেললেন তিনি।
এদিকে দিঘায় নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ‘নয়নপথগামী তুমি জগন্নাথস্বামী। জয় জগন্নাথ, জয় জগন্নাথ।’ এই গানটি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গেয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন। তিনি আবার রাজ্যের মন্ত্রী। এই আবহে আজ, শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র আচার–অনুষ্ঠানগুলি শ্রদ্ধার সাথে পালন করা হচ্ছে।’ জগন্নাথ মন্দির দেখতে ইতিমধ্যেই পর্যটকরা ভিড় করতে শুরু করেছেন। এই জগন্নাথধামের উদ্বোধন হয়ে গেলে সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি মন্দির নিয়ে এই পর্যটনকেন্দ্রের বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। মিষ্টির দোকান হবে। আর সেখানে মিলবে বাংলার মিষ্টি। এই উদ্বোধনের দিন এলাকার পুরোহিতদের সংবর্ধনা জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ধাপার কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল ইএম বাইপাস! দমকলের একাধিক ইঞ্জিন
অন্যদিকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে এখন সমস্ত আচার পালিত হচ্ছে। পুরীর মন্দিরের অন্যতম পুরোহিত রাজেশ দৈতাপতির তত্ত্বাবধানে তা হচ্ছে। বুধবার থেকে দিঘায় শুরু হয়েছে ধর্মীয় কাজ। সেদিন বাস্তুপুজো দিয়ে শুরু হয় পুজোর আচার পালন। তারপর বৃহস্পতিবার থেকে যজ্ঞ চলছে। সেদিন কলস পুজোও হয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ লিখেছেন, ‘বাংলায় ভগবান জগন্নাথের আগমন এক বিরাট আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত। তাঁর আশীর্বাদ শুধু আমাদের রাজ্যের জনগণের জন্য নয়, সমগ্র জাতির জন্য শান্তি, সম্প্রীতি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।’
তাছাড়া একটি কবিতা লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বহু পুণ্যার্থী ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী কবিতা তুলে ধরেছেন।—‘নাথ, তুমি এসো ধীরে, সুখ–দুখ–হাসি–নয়ননীরে, লহো আমার জীবন ঘিরে—সংসারে সব কাজে ধ্যানে জ্ঞানে হৃদয়ে রহো॥’ নিরাপত্তার স্বার্থে হাওড়া, কোলাঘাট, দিঘা–সহ নানা জায়গায় সিসিটিভি এখন লাগানো হয়েছে। ওয়াচটাওয়ার তৈরি হয়েছে। ২৯ ও ৩০ এপ্রিল দিঘায় মূল অনুষ্ঠান। পর্যটকরা এলে কেমন করে সামলাতে হবে, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা কেমন দিতে হবে, জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তা, পুজোর কাজ, উদ্বোধন–সহ নানা বিষয় দেখে নেওয়া হয়েছে। ডিজি এখানে থাকবেন।