🦄অনেকেই বলেন সিপিএম নাকি এখন দিশেহারা। দল বাঁচাতে নিত্যনতুন নানা পন্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনও টোটকাই কাজ করছে না। তবে এবার পার্টি কর্মী, পার্টি দরদীদের মন বুঝতে খামের ব্যবস্থা করছে সিপিএম। হুগলি জেলা সিপিএম। হুগলির ডানকুনিতে বসছে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। হাজার হোক একটা বড় পরিবর্তন যে অন্তত কলকাতা থেকে বেরিয়ে রাজ্য সম্মেলন এবার ডানকুনিতে।
♊বড় টার্গেট নেওয়া হচ্ছে। মূল লক্ষ্য় দলকে আবার চাঙা করা।
ওআর সেই সম্মেলনের আগে সিপিএমের অন্দরে জোর গুঞ্জন খাম তত্ত্ব। সূত্রের খবর, আগামী ২২ শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই সম্মেলনের আগে হুগলিতে পার্টি ও সহায়ক গ্রুপের সদস্যদের কাছে যাচ্ছে বিশেষ খাম। খালি খাম। আর এতেই টাকা ভরে পাঠাতে হবে। এবার আর কোনও হুইপ নয় যে একদিন বা দুদিনের আয়ের টাকা দিতে হবে। এমনটা নয়। এবার পার্টির সদস্যরা তাঁদের সামর্থ্য় অনুসারে টাকা দিতে পারেন জেলা কমিটিকে।
♔একটি সময় কৌটো নাচাতেন সিপিএম নেতারা। তবে সেসব সর্বসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের জন্য। এখনও সেই কৌটো আছে। এবার এল খাম। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, এই খামের মাধ্য়মে সিপিএম পার্টি সদস্য ও সহায়ক গ্রুপের পরিবারের সদস্যরাও একাত্ম হতে পারবেন।
🉐তবে এই খামে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও কোনও চাপ নেই। যে যেমন পারেন দিতে পারেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই খামের আড়ালে একটা অন্য গল্পের কথা শোনা যাচ্ছে। আসলে দলের সদস্যদের মন পড়তে চাইছেন নেতৃত্ব। আয় যথেষ্ট করেন অথচ চাঁদার বেলায় কৃপণতা আবার আয় নেই সেভাবে, কিন্তু পার্টির প্রতি অকৃত্রিম টান তার জেরেই উজাড় করে দিচ্ছেন, এই ফারাকটাই কি বুঝতে চাইছে সিপিএম?
♍তবে বিগত দিনে সিপিএমের জেলা সম্মেলন হোক, এরিয়া কমিটির সম্মেলনই হোক কিংবা রাজ্য সম্মেলন একেবারে হই হই করা ব্যাপার। টাকা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকতেন অনেকে। সেসব আজ অতীত। তবে ক্ষমতার একেবারে চরম শীর্ষে থাকার সময়তেও সিপিএম চিরকালীন রীতি মেনে লাল চা-মুড়ি তেলেভাজার উপর অনেকটাই ভরসা করতেন। ক্ষমতার শীর্ষে থাকার সময়তেও এটা ছিল। এখনও ক্ষমতা যখন তলানিতে, তখনও রয়েছে সেই লাল চা আর মুড়ি তেলে ভাজা। তবে এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল খাম। আর খাম শুধু খাম নয়, এটা তো মনেরও আয়না।