আগেও একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় শংসাপত্র পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অনেক কাজের ক্ষেত্রেই বিজেপি শাসিত রাজ্যকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে বাংলা। আর তা কেন্দ্রীয় রিপোর্টেই বারবার উঠে এসেছে। এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পে উৎসাহে ভাটা দেখা গেল ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে। আর এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্টে। এই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে উচ্চশিক্ষায় ঋণ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ভর্তুকি প্রকল্পে। যেখানে ওই রাজ্যগুলিতেই তা বেশি করে নেওয়া উচিত। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে এ𒐪গিয়ে রয়েছে বাংলা।
এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পিএম–ইউএসপি অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী উচ্চশিক্ষা প্রোৎসাহনের অন্তর্গত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মসূচি সিএসআইএস। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষায় বিশেষ উৎসাহ🍨 এবং সহযোগিতা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ারা সুযোগ পান। এক্ষেত্রে সংখ্যালঘু, বিশেষভাবে সক্ষম, তফসিলি জাতি/উপজাতি, মহিলারা বিশেষ ক্যাটেগরিতে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পান উচ্চশিক্ষার জন্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে🍷 এই কর্মসূচি তেমন হচ্ছে না। অনেকে জানেনই না।
আরও পড়ুন: নারী দিবসের ৫০ বছরে নতুন স্লোগান তৃণমূল কংগ্রেসের, রবীন্দ্রসদন–ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিএসআইএস কর্মসূচিতে মোট আবেদন জমা পড়েছে ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪৭৫টি। তবে দেখা যাচ্ছে, প্রথম তিনজনের মধ্যে রয়েছে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। যা ভাবা যায় না। কারণ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অবস্থান ক্রমশ নিচের দিকে নেমেছে। শীর্ষে আছে কর্নাটক। তাদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে ৬৮ হাজার ৬৫৭টি। দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিলনাড়ু। তাদের আবেদন সংখ্যা ৬৭ হাজার ৪১৯টি। আর তৃꦅতীয় স্থানে রয়েছে বামশাসিত কেরল। যাদের আবেদন জমা পড়েছে ৬৪ হাজার ৪৩৪টি।