আইপিএলে ব্যাট বলের লড়াই যেমন আগের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে, তেমন স্কোর বোর্ডে চার ছক্কা ও রানের সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। তবে এর মাঝেই আইপিএল-এ ফিল্ডিংয়ের মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আসলে আইপিএল ২০২৫-এ কমছে ক্যাচ ধরার মান। ফিল্ডাররা বারবার ভুল করছেন। এর ফলে ভাগ্যবান ব্যাটাররা আরও অনেক বেশি স✤ুযোগ পাচ্ছেন। এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত প্রতি চারটি সুযোগের মধ্যে একটিতে ক্যাচ ফেলে দেওয়া হয়ไেছে।
আইপিএলে ব্ꩵযাটিংয়ের মান ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে। প্রতি বছর বাড়ছে ছক্কার সংখ্যা ও রান রেট। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ꦜএকই কথা বলা যাচ্ছে না। এবারের মরশুমে ৩৯টি ম্যাচে ৪৩১টি ক্যাচিং সুযোগের মধ্যে ১০৩টি ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্যাচিং দক্ষতা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭৬.১%—গত পাঁচ বছরে এই সময়ে আইপিএলের সবচেয়ে খারাপ ক্যাচিং পারফরম্যান্স এটি।
আরও পড়ুন … পাকিস্তানের সঙ্গে ICC-র কোনও টুর্নামেন্টেও খেলবে না ভারত? BCCI-এ♍র💎 বড় পদক্ষেপ
আসলে, গত পাঁচ বছর ধরে ক্যাচিং দক্ষতা ক্রমশই নীচের দিকে নামছে। ২০২১ সালে ক্যাচিং দক্ষতা ছিল ৮৫.৫%। সেই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। চলতি মরশুমেই দুইটি ম্যাচে নয়টি করে ক্যাচ পড়েছে। একটি রাজস্থান রয়্যালস (RR) বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB) ম্যাচ, অপরটি পঞ্জাব কিংস (PBKS) বনাম চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) ম্যাচে। ESPNcricinfo-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এক ম্যাচে সর্বাধিক ক্যাচ ফেলার রেকর্ড এটি।🧜 আগের রেকর্ড ছিল ৮টি ক্যাচ মিস, সেটি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH) ম্যাচে, সেই ম্যাচটি ২০২৩ সালে ইডেন গার্ডেন্সে হয়েছিল।
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় কোন দলগুলো?
পয়েন্ট টেবিলের নীচের দিকে থাকা দলগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ফেলেছে। CSK-এর ক্যাচিং দক্ষতা অত্যন্ত হতাশাজনক—মাত্র ৬৪.৩%। RR-এর পারফরম্যান্সও খুব একটা ভালো নয়। CSK-এর ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ মিস তাদের খেসারত দিতে বাধ্য করেছে। PBKS-এর প্রিয়াংশ আর্যকে দ্বিতীয় বলেই ড্রপ করা হয়, পরে তিনি সেঞ্চুরি করে ম্যাচের সেরা হন। 𝕴RCB-এর রজত পতিদার ১৮ রানে ♋ড্রপ হন, পরে হাফ-সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতান।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: PSL 2025-এ ইফতিখারের বিরুদ্ধে চাকিং-এর �🌌�অভিযোগ তুললেন মুনরো, রেগে লাল রিজওয়ান
‘বাটারফিঙ্গার’ ফিল্ডাররা
যাদের কাছে চার বা তার বেশি ক্যাচিং সুযোগ এসেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স করেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল (PBKS) ও বিজয় শঙ♚্কর (CSK)। তাঁদের ঠিক নীচে রয়েছেন আব্দুল সামাদ (LSG) ও বৈভব অরোরা (KKR)। চাহাল যাঁকে ড্রপ করেছিলেন, সেই SRH-এর অভিষেক শর্মা তখন ৫৭ রানে ছিলেন, পরে তিনি ১৪১ রানে অপরাজিত থেকে ২৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়া কর💜ে ম্যাচ জেতান।
দুর্ভাগা বোলাররা
KKR-এর হর্ষিত রানা ও RR-এর সন্দী🐻প শর্মার বল থেকে পাঁচটি করে ক্যাচ 𒊎মিস হয়েছে। সন্দীপের বোলিংয়ে একটি ক্যাচ ফেলেছিলেন রিয়ান পরাগ, সেই সময় কোহলি ছিলেন ৭ রানে। পরে তিনি ৬২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জেতান।
আরও পড়ুন… NC Classic javelin event: ভারতে আসবেন না আরশাদ! নীরজের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করল🔴েন
সবচেয়ে ভাগ্যবান ব্যাটিং দল
RR সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে। তাদের ব্যাটারদের ক্যাচ পড়েছে ১৭ বার। ফলে ব্যাটাররা দ্বিতীয় বা তৃতীয় সুযোগ🍸 পেয়েছেন বারবার। যদিও এতগু▨লো জীবন পেয়েও পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান খুব একটা উন্নতি হয়নি। GT, DC এবং MI—যারা পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকে রয়েছে—তাদেরও অনেক লাভ হয়েছে খারাপ ফিল্ডিংয়ের কারণে।
ভাগ্যবান ব্যাটাররা
PBKS-এর প্রিয়াংশ আর্য ও RR-এর শিমরন হেতমায়ের এই মরশুমে সবচেয়ে বেশি ভাগ্যবান ব্যাটার। তাদের পাঁচবার করে ড্রপ করা হয়েছে। আর্যর তিনটি ড্রপই হয়েছ♛িল CSK-এর বির✤ুদ্ধে তার সেঞ্চুরির ইনিংসে। এছাড়াও ভাগ্যবানদের তালিকায় রয়েছেন কেএল রাহুল (RCB-এর বিরুদ্ধে), আশুতোষ শর্মা (LSG-এর বিরুদ্ধে) ও অভিষেক শর্মা (PBKS-এর বিরুদ্ধে)।
স্টেডিয়ামের ভূমিকা
জয়পুরে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ পড়েছে। এই সংখ্যাটি হল ১২𒊎। যেখানে ধরা হয়েছে মাত্র ৯টি ক্যাচ। RR তাদের দুটি ম্যাচে ৬টি ক্যাচ ফেলেছে। জয়পুরের ক্যাচিং ꧑দক্ষতা মাত্র ৪২.৯%—যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ। তার পরেই রয়েছে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম, যেখানে ক্যাচিং দক্ষতা ৫৪.২%।