রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে হবে গঙ্গাসাগর মেলা। আর ক’দিন পরেই শুরু হচ্ছে এই মেলা। এই মুহূর্তে জোরকদমে চলছে মেলার প্রস্তুতির কাজ। প্রতি বছর এই মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় জমে সাগরে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মূলত ট্রেন পথেই গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন পুণ্যার্থীরা। তাই পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে 🦩সাজানোর নির্দেশ দিল রেল বোর্ড। ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডের চে🍨য়ারম্যান এবিষয়ে আরপিএফের ডিজি এবং রেলের বিভিন্ন বিভাগীয় সদস্য ও জোনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সুরক্ষার কথায় মাথায় রেখে হাওড়া, শিয়ালদা, কলকাতা সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে বেশি সংখ্যায় নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে রেল।
আরও পড়ুন: সাধুদের ভিড়ে গমগম করছে বাবুঘাট💜 চ♋ত্বর, সাগরে পুণ্যস্নানের লগ্ন নতুন বছরেই
কুম্ভ মেলার পরে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা ধরা হয় গঙ্গাসাগর মেলাকে। কপিলমুনি দর্শনের জন্য প্রতিবছর সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ঢল নামে সাগরে। তার ওপর প্রতিবছর জানুয়ারি মাস জুড়ে বিভিন্ন জেলায় উৎসব–মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ফলে জানুয়ারি মাসে মেলাগুলিকে কেন্দ্র করে ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় থাকে। সেই ভিড়ের মধ্যে কোনওভাবেই যাতে যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় তার জন্য করা নির্দেশ দিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গ🐭াসাগর মেলার জন্য স্টেশন চত্বরে এবং ট্রেনে সুরক্ষার জন্য এক 🦩কোম্পানি আরপিএফ মোতায়েন করা হবে। ৯ জনুয়ারি থেকে এই সুরক্ষা কর্মীরা হাওড়া, শিয়ালদা, কলকাতা সহ অন্যান্য স্টেশনগুলিতে মোতায়েন থাকবেন। তারা যাত্রীদের নিরাপত্তার উপরে নজরদারি রাখবেন। এর পাশাপাশি সাদা পোশাকে নজরদারি চালানো হবে। যাতে ভিন রাজ্য থেকে বহিরাগতরা এসে এই দুষ্কৃতীপনা করতে না পারে তার জন্য বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হবে। এছাড়া সিসিটিভির মাধ্যমেও নজরদারি চলবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর মেলাকে ঘিরে ট্রেনে নিরাপত্তা এই প্রথম নয়। প্রতিবারই সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে রেল। এর পাশাপাশি রাজ্য ও রেল পুলিশের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরাও বিভিন্ন স্টেশনে শিবির করবেন। মহিলা ও শিশুদের উপর বিশেষভাবে নজরদারি রাখা হবে। তাদের সুরক্ষার ওপরে আরও বেশি করে জোর দেওয়া হবে। তাছাড়া অসুস্থ হয়ে পড়লে পণ্যার্থীদের যাতে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য বড় বড় স্টেশনগুলোতে প্রতিবারের মতো এবারও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা থাকবে। বিশেষ করে শিয়ালদা, নামখানা, কাকদ্বীপ, হাওড়া স্টেশনে যেহেতু ভিড় হয় তার জন্য এই স্টেশনগুলিতে অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টারগুলি খোলꦅা হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে এই সমস্ত স্টেশনগুলিতে। সেই সঙ্গে বাড়তি ট্রেন চালানো হবে।