এবার আইপিএলের মঞ্চ এক নতুন স্পিডস্টারের জন্ম দিয়েছে। যার বলের গতি সব সময়ে ১৫০ বা তার আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে। শনিবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে অভিষেক হয় মায়াঙ্ক যাদবের। আর অভিষেকেই নজর কাড়েন মায়াঙ্ক। পঞ্জাবকে একাই শেষ করে দেন তিনি। তাঁর ওভারের প্রত্যেক বলের গতি ছিল ১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। প্রত্যেক বলেই প্রায় একই গতি বজায় রেখেছিলেন। যা দেখে অবাক সকলেই।
কয়েক বছর আগে আইপিএলের মঞ্চেই আবির্ভাব হয়েছিল উমরান মালিকের। তবে দুরন্ত গতি থাকলেও লাইন এবং লেন্থ ধরে রাখতে না পারায় বেশিদূর এগোতে পারেননি উমরান। তবে দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী পেসারকে ভবিষ্যতের তারকা বলে মনে করছেন ক্রিকেট পণ্ডিতেরা।
আরও পড়ুন: এই ইনিংসটি তোমার সঙ্গে সারা জীবন থাকবে- পন্তের ব্যাটিংয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলার মহারাজ
এখন মায়াঙ্কের কোচ দেবেন্দর শর্মা দাবি করেছেন যে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজের জন্য ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে জায়গার জন্য এই পেসারকে বিবেচনা করা হয়েছিল। RevSportz-এর সঙ্গে কথা বলার সময়ে, দেবেন্দর জানিয়েছেন যে, প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকার তাঁকে নির্বাচন করার আগে মায়াঙ্ককে বল দেখতে চেয়েছিলেন। তবে চোটের কারণে সেই সময়ে ছিটকে যান তিনি।
দেবেন্দর দাবি করেছেন, ‘ও খুব দুঃখিত ছিল, প্রায় ভেঙে পড়েছিল। প্রধান নির্বাচককে প্রভাবিত করার এবং ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ কে আর ছেড়ে দিতে চায়? আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে, ও আর উপরে উঠতে থাকুক এবং ফিট থাকুক। ও খুব ভালো বোলার এবং খুব দৃঢ় ভাবে নিজেকে তৈরি করেছে। ওর অ্যাথলেটিক বডি। ও খুব পরিশ্রমী এবং দীর্ঘ সময় ধরে ভারতকে সেবা করার ক্ষমতা রাখে। ওর মাথা খুব ভালো। বুদ্ধি ধরে। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: আমি আর বাচ্চা নই- প্রথম দুই ম্যাচে বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুললেন পৃথ্বী শ'
মায়াঙ্ককে ২০২২ আইপিএলের ২০ লক্ষ টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টস কিনে নিয়েছিল। তবে, তিনি সেই মরশুমে একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। গত বছর আবার চোট বাধা সাধে। তবে এই বছর অভিষেকেই দুরন্ত শুরু করেছেন মায়াঙ্ক।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে চার ওভার বল করে ২৭ রানে তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। প্রত্যেক বলেই গতি প্রায় ১৫০ বা তারও বেশি। ২৪ বলের স্পেলে মোট ন'বার ১৫০ কিমি গতি পেরিয়ে যায়। তার মধ্যে একটি বলের গতি ছিল ১৫৫.৮ কিমি। যা চলতি আইপিএলের এখনও পর্যন্ত দ্রুততম বল। আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম বল শন টেটের। ২০১১ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৫৭.৭ কিমি গতিতে বল করেছিলেন তিনি।