চোখে-মুখ থেকে যেন আত্মবিশ্বাসের বিচ্ছুরণ হচ্ছে। রাত দুটো নাগাদ ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে মেরেকেটে চার ঘণ্টা ঘুমিয়ে যে আইপিএল ফাইনালের সাংবাদিক বৈঠকে এসেছেন, তা বোঝাই যাচ্ছে না। বিন্দুমাত্র নেই ক্লান্তির রেশ। বরং ফাইনালের একদিন আগে পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের চোখে-মুখে স্রেফ একটা জিনিসই ধরা পড়ল, সেটা হল আইপিএল ট্রফি জয়ের লক্ষ্য। গতবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে যে কাজটা করেছিলেন, এবার সেটাই করতে চান পঞ্জাবের জন্য।
পন্টিং দুর্দান্ত কোচ, প্রশংসায় শ্রেয়স
তবে শ্রেয়স কখনও আত্মকেন্দ্রিতায় ডুবে থাকলেন না। বরং জোর দিলেন দলগতি সংহতির উপরে। আর সেটার জন্য কৃতিত্ব দিলেন হেড কোচ রিকি পন্টিংকে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়কের ভূয়সী প্রশংসা করেন শ্রেয়স বললেন, ‘ও দুর্দান্ত কোচ। যে একেবারে নিখুঁতভাবে খেলোয়াড়দের সামলায়। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, ওর যে ব্যাপারটা সবথেকে ভালো যে ও সবাইয়ের সঙ্গে সমানভাবে আচরণ করে।’
পঞ্জাবের অধিনায়ক আরও বলেন, 'সেই বিষয়টা সবাইকে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগায় - সে জুনিয়র হোক বা সিনিয়র। যখন তুমি জানো যে কোচ প্রত্যেকে সমানভাবে ব্যবহার করছে, তখন তোমার মানসিকতা ইতিবাচক হয়। মাঠে নেমে নিজেকে মেলে ধরার স্বাধীনতা দেয়।'
পন্টিংয়ের কথা শোনার জন্য মুখিয়ে আছি আমরা, বললেন শ্রেয়স
সেইসঙ্গে পন্টিংকে প্রশংসা করে শ্রেয়স বলেন, 'ফলাফল যাই হোক না কেন, তাতে ওর (পন্টিংয়ের) আবেগ কখনও ওঠানামা করতে দেখিনি। ম্যাচের আগে এবং পরে নিজের ভাষণের মাধ্যমে ওর যে দৃঢ় চিন্তাভাবনার প্রকাশ পায়, সেটা মাঠে নামার সময় আমাদের ব্যাপক উৎসাহ জোগায়। আর ম্যাচের পরে ওর কথা শোনার জন্য মুখিয়ে থাকি আমরা। ও যে চিন্তাভাবনা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরে, (সেটার জন্য মুখিয়ে থাকি)। ওর আশপাশে থাকতে পারার বিষয়টাই দারুণ।'
গম্ভীরকে ঘুরিয়ে নিশানা শ্রেয়সের?
আর সেই বিষয়টা গত বছর গৌতম গম্ভীরের মধ্যেও ছিল কিনা, তা অবশ্য জানাননি শ্রেয়স। খাতায়কলমে কোচ না হলেও গম্ভীরের কাছেই গত বছর কেকেআরের কোচিংয়ের ব্যাটিং ছিল। কেকেআর আইপিএল জয়ের পরে তাঁকেই বেশি কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছিল। যা আদতে শ্রেয়সের প্রতি অবিচার ছিল বলে মনে করেন অনেকেই।
যদিও সেইসব বিষয়ে পাত্তা না দিয়ে শ্রেয়স আপাতত মঙ্গলবারের ফাইনালের দিকে যাবতীয় মনোযোগ দিচ্ছেন। প্রিয়াংশ আর্য, প্রভসিমরন সিংরা যেভাবে খেলছেন, তা নিয়েও বাড়তি আত্মবিশ্বাসী শোনায় তাঁকে। শ্রেয়সের কথায়, ‘আমাদের দলে অনেক তরুণ আছে। ওদের ভয়ডরহীন মনোভাবের উপরে দৃষ্টি আরোপ করতে পারেন। প্রথম বল থেকেই ওরা পুরো বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে। আর এখনও সেটাই করছে। প্রতিটি ম্যাচে কোনও না কোনও দায়িত্ব নিয়েছে এবং বলেছে যে আমি দলকে ম্যাচ জেতাব। আর সেই কারণেই আমরা এত ধারাবাহিক থেকেছি।'