পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ক্রমেই তলানিতে যেতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী সাফ হুঙ্কারে জানিয়ে দিয়েছেন, জঙ্গিদের বেঁচে বর্তে থাকা জমিও মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে। তারপর থেকেই পাকিস্তান ক্রমাগত ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে ব্যস্ত। এরই মাঝে মার্কিন মুলুক থেকে এল বড় সাহায্যের বার্তা।
‘ক্রিটিক্যাল আর্মি হার্ডওয়্যার’ ও ‘লজিস্টিক সাপোর্ট অ্যাসেট’ আমেরিকা থেকে ভারতে সরবরাহ করা সংক্রান্ত প্রস্তাবে শিলমোহর দিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলত, ভারতের সামরিক শক্তিকে আরও জোরদার করতে এবার সেনার সাহায্যকারী একাধিক সামগ্রী আসতে চলেছে মার্কিন মুলুক থেকে। এই সামগ্রীগুলি মিলিয়ে মোট দাম ১৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পড়বে বলে জানা গিয়েছে। পেন্টাগনের আওতায় থাকা আমেরিকার,' ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপরেশন এজেন্সি' এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য, বহু দিন ধরেই আমেরিকা চাইছিল যাতে সেদেশ থেকে সামরিক বিভাগ সংক্রান্ত সামগ্রী কেনে ভারত। সেই জায়গা থেকে দিল্লির কাছে ওয়াশিংটনের এই সামগ্রী সরবরাহের পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ‘ইন্ডো পেসিফিক মেরিটাইম ডোমন অ্যাওয়ারনেস’ র আওতায় এই প্রস্তাবিক সরবরাহ হতে চলেছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ভারত, আমেরিকা সমঝোতার।
( ছিলেন IT কর্মী, ‘স্পাই’ হওয়ার অভিযোগে ফাঁসি! কার খুন ঘিরে কোপ পড়ে মোহসেনের ওপর?)
কোন কোন সামগ্রীর কেনার জন্য অনুরোধ ছিল ভারতের?
এই বিষয়ে আমেরিকার তরফে এক বিবৃতি বলা হয়েছে, ভরতের তরফে আমেরিকার থেকে কেনার জন্য অনুরোধ ছিল প্রতিরক্ষা বিভাগ সম্পর্কিত কিছু জিনিস নিয়ে। ভারত অনুরোধ করেছিল,'সি ভিশন সফ্টওয়্যার'র, ‘ রিমোট সফ্টওয়্যার’র, ‘অ্যানালিটিক সাপোর্ট’র। এছাড়াও ‘সি ভিশন ডকুমেন্টশন’ যাতে হাতে থাকে, এবং এছাড়াও বেশ কিছু সামগ্রী ভারতের তরফে সরবরাহের জন্য আমেরিকার কাছে অনুরোধ করা হয়। যদিও এই সরবরাহ নিয়ে ভারতের তরফে এখনও কিছু বলা হয়নি। আমেরিকা বলছে, ‘ভারত -আমেরিকার স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক মজবুত করতে এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় অংশীদার ,যারা দক্ষিণ এশিয়া ও ইন্দো পেসিফিক এলাকায় স্থিতাবস্থা, আর্থিক উন্নতি, শান্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি .. তাদের নিরাপত্তা উন্নত করতে’, এই প্রস্তাবিত বিক্রয় মার্কিন বিদেশ নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্যকে সমর্থন করবে।