চাপ বাড়ছে ইউনুসের? চিন্ময়প্রভুর মুক্তি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ট্রাম্পের দ্বারস্থ আমেরিকা নিবাসী বাংলাদেশিরা
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 30 Dec 2024, 08:24 PM ISTসংগঠনের সদস্যরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি মেমোরেন্ডাম দেন। কোন দাবি তাঁদের?
সংগঠনের সদস্যরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি মেমোরেন্ডাম দেন। কোন দাবি তাঁদের?
আর কয়েকদিন পরই নতুন বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মসনদে বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার আগে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকা নিবাসী বাংলাদেশি খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, হিন্দুদের সংগঠন দ্বারস্থ হয় ট্রাম্পের। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশে ইসলামি শক্তির কাছে তাঁদের ‘অস্তিত্ব সংকট’ দেখা দিচ্ছে, আর এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে তাঁরা ট্রাম্পের সাহায্য চাইছেন।
মার্কিন তখতে যখন জো বাইডেন, তখনই বাংলাদেশে শেখ হাস্নার সরকার পড়ে যায়। গণ অভ্যুত্থানের হাত ধরে বাংলাদেশের তখতে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার আসে মহম্মদ ইউনুসের অধীনে। এদিকে, এরপর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির সহ নানান জায়গায় ভাঙচুর, তাণ্ডবের নানান খবর আসে। আসে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির খবর। এই হিন্দু সন্ন্যাসী গ্রেফতার হতেই তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম কোর্টে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির জেরে এক আইনজীবী খুনের ঘটনা ঘটে। এদিকে, চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ রয়েছে। এবার সেই চিন্ময়কৃষ্ণকে জেল থেকে মুক্তি দিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আর্জি জানালেন আমেরিকা নিবাসী বাংলাদেশের হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধরা। এছাড়াও তাঁরা চাইছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক। এই মর্মে তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি মেমোরেন্ডাম দেন। তাঁরা চাইছেন, ‘কম্প্রিহেনসিভ মাইনরিটি প্রোটেকশন অ্যাক্ট’ তৈরি হোক। তার আওতায় ঘরোয়া সংগঠন ও সংখ্যালঘুদের মান্যতা দেওয়া হোক, বলে তাঁদের দাবি। চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে তাঁরা ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও ওই মেমোরেন্ডামে তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যাতে বাংলাদেশকে যুক্ত করা হয়। সংগঠনের আশা, এতে বাংলাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত হিংসা, নিপীড়ন বন্ধ হতে পারে। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক নির্বাচক মণ্ডলী, ধর্মীয় চর্চা, সাংস্কৃতির ঐতিহ্য বজায় রাখতে ঘৃণ্য অপরাধ ও ঘৃণা ভাষণের বিরুদ্ধে আইন তৈরির দাবি রয়েছে তাঁদের।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট ছাত্র-জনতা আন্দোলনের জেরে সেই দিনই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গদি ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে বাংলাদেশে নতুন সরকার আসার পর থেকে নানান রাজনৈতিক সমীকরণের ছবি দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশ চাইছে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে প্রত্যর্পণ করতে। এদিকে, বাংলাদেশের এক মসজিদে সদ্য ‘আওয়ামি লিগ আবার ফিরবে’ এমন একটি বার্তা স্ক্রিনে উঠে আসে। এই সমস্ত খবরের মাঝেই মার্কিন মুলুকে সেখানের খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ বাংলাদেশিরা ট্রাম্পের দ্বারস্থ হওয়ায় ঢাকায় ইউনুস সরকারের ওপর চাপ বাড়ল কি না, তার উত্তর তোলা রয়েছে সময়ের হাতে!