জেল হেফাজতে মৃত্যু মামলায় প্রাক্তন আইপিএস সঞ্জীব ভাটের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে জামিন খারিজ করলেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযুক্তর আবেদন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতা।
আরও পড়ুন-কানাডার নির্বাচনে খলিস্তানপন্থী জগমিতের এনডিপি ধরাশায়ী! এল পদত্যাগের বড় ঘোষণা
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, 'আমরা সঞ্জীব ভাটকে জামিন দিতে আগ্রহী নই। তাই জামিনের আবেদন খারিজ করা হল। তবে শুনানি প্রভাবিত হবে না। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আবেদনের শুনানি দ্রুত করা হবে।' সম্প্রতি জেল হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত আইপিএস সঞ্জীব ভাট জামিনের ও যাবজ্জীবন সাজা স্থগিতের আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। এর আগে গুজরাট আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল।
ঘটনাটি ১৯৯০ সালের। সেই সময় গুজরাটের জামনগর জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে ছিলেন সঞ্জীব। অযোধ্যার রাম মন্দির ইস্যুতে তৎকালীন বিজেপি প্রধান লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে ৩০ অক্টোবর ডাকা ভারত বন্ধে ১৩৩ জনকে আটক করে পুলিশ। ১৯৯০ সালের সেই ঘটনায় টাডা আইনে আটক ওই ১৩৩ জনের মধ্যে একজনের জেল হেফাজতেই মৃত্যু হয়।এরপরেই হেফাজতে অভিযুক্তর উপর নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ উঠে প্রাক্তন আইপিএস সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে। পরে সঞ্জীব ভাট-সহ সাত পুলিশ অফিসার, দুই সাব-ইন্সপেক্টর, তিন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। জামনগর জেলার তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাট ও আরেক পুলিশ কর্মীকে দায়রা আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ২০২৪ সালে গুজরাট হাইকোর্টে সেই রায়ের বিরুদ্ধে ভাটের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপরেই তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
আরও পড়ুন-কানাডার নির্বাচনে খলিস্তানপন্থী জগমিতের এনডিপি ধরাশায়ী! এল পদত্যাগের বড় ঘোষণা
উল্লেখ্য, কেবল হেফাজতে মৃত্যু মমমলা নয়, সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে মাদক মামলা সাজানো এবং ১৯৯৭ সালে আরও একটি হেফাজতে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৬ সালের মামলায় ইতিমধ্যেই দায়রা আদালতে তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। যদিও পরের মামলা থেকে আদালত তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে।