তিনশোটি ওঠবোসের সময় মৃত্যু হয়েছিল ছাত্রের। সেই ঘটনায় শিক্ষককে এক লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছে, সন্তানের মৃত্যুর জন্য তাঁর বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিতে বলেছেন শিক্ষককে।
ঘটনাটি ওড়িশার বনাইগড়ের। ২০১৯ সালে ২৩ অক্টোবর বনাইগড়ের আর.ডি.ডি. হাই স্কুলের ছাত্রকে ওই স্কুলের শিক্ষক ৩০০ বার ওঠবোস করতে বলেন অভিযোগ। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাত্রর অস্বস্তিবোধ করে। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ২ নভেম্বর এম.কে.সি.জি. মেডিকেল কলেজে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। এরপরেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় মৃত ছাত্রের পরিবার।
পাঁচ বছর ধরে মামলার শুনানি চলেছে। এফআইআর, চার্জশিট এবং মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে জানানা হয়েছে, ওই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ 'মেনিনজাইটিস'। মৃত ছাত্রের শরীরে কোনও আঘাত পাওয়া যায়নি। সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর মৃতের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা হাইকোর্ট।
আদালতের মতে, একটি শিশু জীবন হারিয়ে গিয়েছে এবং কোনও ক্ষতিপূরণই শিশুটির জন্য বাহুল্য নয়। যদিও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য অভিযুক্তের উপর ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করছে। তবুও রাষ্ট্রের কর্তব্য হল সরকারি স্কুল এবং হস্টেলে বসবাসকারী পড়ুয়াদের যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।
সম্প্রতি ওড়িশায় এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থেকে গোটা দেশ। এবার ছাত্র নয় খোদ শিক্ষক বিপাকে পড়েছেন। অসুস্থতার ছুটি মঞ্জুর করেনি স্কুল, তাই স্যালাইনের বোতল সঙ্গে নিয়েই ক্লাস করিয়েছেন ওড়িশার এক শিক্ষক।অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষকের কাছে অসুস্থতার জন্য ছুটি চেয়েছিলেন ওই শিক্ষক। কিন্তু তিনি তা মঞ্জুর করেননি। বরং তাঁকে ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়। তাই বাধ্য হয়েই স্যালাইনের বোতল সঙ্গে নিয়েই স্কুলে আসেন ওই শিক্ষক। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রধানশিক্ষকের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।