ডাক পাওয়াই শুধু নয়, বাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতোই আসতে আসতে নিজেকে প্রমাণ করার দিকে এক পা এক পা করে এগোচ্ছেন জুনিয়র রোনাল্ডো। কদিন আগেই পর্তুগালের অনূর্ধ্ব ১৫ দলের হয়ে ডাকা হয় তাঁকে। জাতীয় দলে এটাই ছিল জুনিয়র রোনাল্ডোর প্রথম ডাক। এরপর থেকে সকলেই অধীর আগ্রহে বসেছিলেন রোনাল্ডোর ছেলের খেলা দেখার জন্য।
কদিন আগেই জুনিয়র রোনাল্ডো পর্তুগাল অনূর্ধ্ব ১৫ দলের হয়ে অভিষেক ঘটান। সেই ম্যাচে তিনি পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন জাপানের বিরুদ্ধে। নিজের বড় ছেলের অভিষেকের পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নিজেও প্রতিক্রিয়া দিয়ে লিখেছিলেন, তিনি গর্বিত। ক্রোয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে জেতে রোনাল্ডোর দেশ পর্তুগাল। ১৪ বছর বয়সী জুনিয়র রোনাল্ডোর ম্যাচ দেখতে আগের দিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন তাঁর দিদা অর্থাৎ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মা দোলোরেস আভেইরো।
এবার ভ্লাটকো মারকোভিচ প্রতিযোগিতায় গ্রিসের বিরুদ্ধে ৬০ মিনিট মাঠে থাকলেন রোনাল্ডো জুনিয়র। ক্রোয়িশায় আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন ছোট রোনাল্ডো। বাবার মতোই সাত নম্বর জার্সি পড়ে তিনি গোটা মাঠে দৌড়ে বেড়ান। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে তুলে নেন কোচ। শুক্রবার তাঁদের পরের ম্যাচ ইংল্যান্ডের সঙ্গে।
জানা যাচ্ছে প্রায় ৬ দলরে স্কাউট নাকি ইতিমধ্যেই রোনাল্ডোর ছেলের ওপর নজর রেখেছেন। তাঁর খেলা দেখে, কোন পজিশন অনুযায়ী তাঁকে নেওয়া যায় সেই নিয়ে স্কাউটরা চিন্তাভাবনা করতে চলেছেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ধারে কাছেও জুনিয়র রোনাল্ডো যেতে পারবেন কিনা, সেটা এখনই বলা যাবে না। কারণ সিআরসেভেন ৪০ বছর বয়সে এসেও নিয়মিত গোল করেই চলেছেন। পর্তুগালের জাতীয় দলের জার্সিতে ইতিমধ্যেই সিআরসেভেন ১৩৬ গোল করে ফেলেছেন। গোটা ফুটবল বিশ্বে সব থেকে বেশি আন্তর্জাতিক গোলের মালিক রোনাল্ডোই।
সিনিয়র রোনাল্ডো ২০১৬ সালে পর্তুগাল দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেবারই ইউরো কাপ জিতেছিল পর্তুগিজরা। যদিও সিআরসেভেন ফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে চোট পেয়ে উঠে গেছিলেন, কিন্তু বার্নার্ডো সিলভা, কুয়ারেজমারা সেই ম্যাচ জিতিয়েছিল পর্তুগালকে। এরপর ২০১৯ সালের উয়েফা নেশনস লিগের শিরোপাও জেতে পর্তুগাল। ফলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নিজে দুবার ইউরোপের সেরা হয়েছেন।
বর্তমানে রোনাল্ডো জুনিয়র রয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরের যুব দলে। ক্রিশ্চিয়ানো ২০২২ সালে সৌদি প্রো লিগের এই দলে সই করেছিলেন। এরপর থেকে সেখানেই খেলে আসছেন সিআরসেভেন। এখনও তাঁর ইউরোপের দলে যাওয়া নিয়ে কথাবার্তা চলছে। যদি ছেলেকে ইউরোপের কোনও দল নেয়, সেক্ষেত্রে সিআরসেভেন কেরিয়ারের পড়ন্ত লগ্নে এসে দল বদল করে সৌদি থেকে ফের ইংল্যান্ডে ফিরতেই পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।