বন্ধ হয়ে গেছে আইপিএল ২০২৫, মাঝপথেই এই লিগ স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। দেশ জুড়ে অশান্তির আবহে কোনও ঝুঁকি না নিয়েই লিগ বাতিল করা হয়। এবার আইপিএল আয়োজনের জন্যই এগিয়ে এল ইংল্যান্ড। জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই আইপিএল নিজের দেশে আয়োজন করতে তাঁরা ইচ্ছুক। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই শুক্রবার পরপর দুই দেশের দুই টি২০ লিগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথমে পাকিস্তান চেয়েছিল তাঁদের পিএসএলকে আরব আমিরশাহিতে নিয়ে যেতে, কিন্তু ভারতের আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তানও PSL স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নয়। এর একদিন আগে থেকেই দুই দেশের মধ্যে জলে, স্থলে, আকাশে লড়াই চলছে।
বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছেন বাকি ১৬ ম্যাচের ভবিষ্যৎ এক সপ্তাহ পরই জানা যাবে। অর্থাৎ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো কীভাবে আয়োজন করা যায়। কিন্তু সেই সময়ে যদি ভারত ফের আইপিএল শুরু করতে না পারে, তাহলে কি হবে? এবার এর উত্তরেই এগিয়ে এল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। ইসিবির এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, যে সেপ্টেম্বরে যদি আইপিএল আয়োজন করতে চায় বিসিসিআই, তাহলে ইংল্যান্ডে তাঁরা লিগ আয়োজন করতে রাজি। এর আগে করোনার সময়ও লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ আরব আমিরশাহীতে লিগের বাকি অংশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
পাঠানকোটে পাকিস্তানের আক্রমণের চেষ্টার পরই ধর্মশালায় আইপিএলের ম্যাচ মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এরপর মাঠের বাতিস্তম্ভ নিভিয়ে দর্শকদের মাঠ ছাড়তে বা হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে বর্তমানে দেশের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরেই বিমান ওঠা নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আইপিএল যেহেতু কয়েক হাজার কোটি টাকার বিষয়ে জড়িত, তাই এই লিগ যে কোনওভাবেই শেষ করতে মরিয়া ভারতীয় বোর্ড। এদিকে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। পরপর তিন দিন ভারতের তিনটি স্টেডিয়ামে উড়ে মেল এসেছে। দাবি করা হয়েছে, ভারতের স্টেডিয়ামগুলো নাকি উড়িয়ে দেওয়া হবে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের পর জয়পুর এবং দিল্লির স্টেডিয়ামে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটে। এই অবস্থায় যদি পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই থেমেও যায়, তাহলেও কত দ্রুত ভারতে আইপিএল আয়োজন সম্ভব সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, সেই সুযোগেই এবার এগিয়ে এল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।