ভারতে রক্ত ঝরিয়েছেন, নিজের নাক কাটিয়েছেন, তারপর মুখে এসেছে শান্তির কথা। ফের একবার পুরনো কৌশলে নেমেছে পাকিস্তান। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত যখন সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা শুরু করে, তখন পাকিস্তান ভারতের ওপর পালটা আক্রমণ শানিয়েছিল। তবে পাকিস্তান নিজেদের অপারেশন শুরু করতে না করতেই নাজেহাল হয়ে পড়ে। এই আবহে সংঘর্ষবরতি সমঝোতা হয়। যদিও মুখে তাদের বড় বড় কথা ছিল। এমনকী সংঘর্ষবিরতির পরও পাকিস্তান দাবি করেছিল, তারা নাকি ভারতের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে। এবার সেই পাকিস্তানেরই প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলছেন, তিনি ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
এর আগে পহেলগাঁওতে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার দায় নিয়েছিল লস্কর-ই-তৈয়বার 'প্রক্সি' সংগঠন টিআরএফ। সরাসরি পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআইয়ের ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠেছে এই জঙ্গি সংগঠন। এরপর ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ব্যাপক হমালা চালায় ভারতের সামরিক বাহিনী। সেই হামলা পাক সেনা নিজেদের গায়ে মেখে নেয়। এরপর ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও দূরপাল্লার অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চারদিনের লড়াই হয়। পরে পাকিস্তান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। এখন রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় প্রস্তুত পাক প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাকিস্তান যতদিন না নিজেদের দেশ থেকে সন্ত্রাসের কাঠামোকে সমূলে উৎখাত করছে, ততদিন কোনও আলোচনা হবে না। জয়শংকর বলেছিলেন, 'পাকিস্তান জানে তাদের কী করতে হবে। যে যে সন্ত্রাসীদের আমরা চাই, তার একটি তালিকা রয়েছে। যতদিন সন্ত্রাস প্রবাহিত হতে থাকবে, ততদিন কোনও আলোচনা হবে না।' একই সঙ্গে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি হিমঘরেই থাকবে। এরই মাঝে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নাকি বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত তিনি। উল্লেখ্য, নিজেদের দেশের মানুষকে তারা যতই বোকা বানানোর চেষ্টা করুক না কেন, গোটা বিশ্ব এখন নিজেরা তারা জানেন যে ভারতের সংক্ষিপ্ত প্রহারে কী দুর্দশাই না হয়েছে তাদের। এরপরও যদি জল নিয়ে সংকট থেকে যায়, তাহলে তাদের মাথায় হাত পড়তে চলেছে।