দীর্ঘদিন হেড কোচ থাকা সত্ত𒉰্বেও দিল্লি ক্যাপিটালসকে আইপিএল জেতাতে পারেননি রিকি পন্টিংꦦ। এবার আইপিএল ২০২৫-এর আগে দিল্লি সম্পর্ক ছিন্ন করে অজি তারকার সঙ্গে। যদিও চাকরি হারিয়ে খুব বেশিদিন বসে থাকতে হয়নি পন্টিংকে। কেননা আসন্ন আইপিএল মরশুমের জন্য পঞ্জাব কিংস তাদের হেড কোচ নিযুক্ত করে রিকি পন্টিংকে।
২০১৮ 🌜সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হেড কোচ নিযুক্ত হন রিকি পন্টিং। ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১, পরপর তিন বছর পন্টিংয়ের কোচিংয়ে আইপিএলের প্লে-অফে ওঠে দিল্লি। ২০২০ সালে ফাইনালে উঠেও রানার্স হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ক্যাপিটালসকে। শেষ তিন বছর প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় দিল্লি এবার হেড কোচের পদ থেকে ছেঁটে ফেলে পন্টিংকে।
সম্প্রতি দিল্লি ক্যাপিটালসের হেড কোচ হিসেবে রিকি পন্টিংয়ের অবদান নিয়ে আলোচনা করছিলেন 🐟মহম্মদ কাইফ। তিনি স্পষ্ট স্বীকার করে নেন যে, পন্টিং অত্যন্ত বড় মাপের ক্রিকেটার হলেও দিল্লির পারফর্ম্যান্সে তেমন কোনও অবদান নেই তাঁর। বরং কাইফ যাবতীয় কৃতিত্ব দিল🧜েন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এমনকি শিখর ধাওয়ানকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করেছিলেন পন্টিং, এমনটাই জানান কাইফ। সৌরভ কার্যত জোর করে ধাওয়ানকে দলে নেন।
কাইফ বলেন, ‘যদি দিল্লির কোচ হিসেবে রিকি পন্টিংয়ের পর্যালোচনা করা হয়, তবে ও নিজেও বলবে যে, কোচ হিসেবে ও আরও ভালো কাজ করতে পারত। কেননা যে দল আমরা তৈরি করেছিলাম, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের তাতে বড় ভূমিকা ছিল। সেই দল হাতে নিয়েও পন্টিং দিল্লিকে চ্যাম্পিয়ন করাতে🍸 পারেনি।’
কাইফ পরক্ষণেই বলেন, ‘একটা সময় আমরা যখন টিম মিটিংয়ে প্রথম এগারো বাছতে বসতাম, তাতে অজিঙ্🌟কাꦫ রাহানের জায়গা হতো না। অশ্বিনকে বাইরে বসতে হতো। ইশান্ত শর্মাকে বসাতে হতো। কখনও কখনও হেতমায়েরকে খেলাব কিনা ভাবতে হতো। কাকে বাইরে বসাব সেটা ঠিক করাই আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াত। এমন একটা শক্তিশালী দল ছিল আমাদের হাতে।’
কাইফ সৌরভকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, ‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্থির করে যে, আমাদের যদি ভালো পারফর্ম্যান্স করে দেখাতে হয়, তবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের কোর🎐 টিম বানাতে হবে। সৌরভ শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে কথা বলে। ওকে ট্রেড করে দলে নিয়ে আসা হয়। অথচ পন্টিং এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। পন্টিং তখন হায়দারাবাদের ওয়ার্নারের সঙ্গে আলোচনা করে ধাওয়ানের বিষয়ে জানতে চায়। ওর ধারণা ছিল ধাওয়ান ফুরিয়ে গিয়েছে। তবে সৌরভ তা মানতে রাজি ছিল না। ওর দাবি ছিল, ধাওয়ার অনায়াসে ৫০০ রান করে দেবে। শেষমেশ ধাওয়ান সেটা সত্যি প্রমাণিত করে। দিল্লি যেবার ফাইনালে ওঠে, ধাওয়ান ৫০০-র বেশি রান করে।’
দিল্লি ক্যাপিটালসে সৌরভের অবদান নিয়ে কꦆাইফ আরও বলেন, ‘সৌরভ অশ্বিনকে দলে নিয়ে আসে। রাহানেকে দলে নিয়ে আসে। এত ভালো ভালো ভারতীয় ক্রিকেটরদের নিয়ে একটা দল﷽ গড়ে দেয়। তা সত্ত্বেও দিল্লিকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেনি পন্টিং।’