ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের আগে নাজমুল হোসেন শান্তদের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তবে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে যে রকম পারফর্ম্যান্স মেলে ধরে বাংলাদেশ, তাকে সন্তোষজনক বলা যায়।
চট্টগ্রামে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ব্যাটে-বলে অনবদ্য ক্রিকেট উপহার দেয় বাংলাদেশ। প্রথমে সফরকারী দলের ইনিংস সস্তায় গুটিয়ে দেন বাংলাদেশের বোলাররা। পরে পালটা ব্যাট করতে নেমে নিতান্ত সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।
টস জিতে জিম্বাবোয়েকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। জিম্বাবোয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হন সিকন্দর রাজা। তিনি শূন্য রানে আউট হন। ৪.৬ থেকে ৫.২ ওভার পর্যন্ত পরপর ৩ বলে ৩টি উইকেট হারায় জিম্বাবোয়ে।
দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৩ রান করেন ক্লাইভ মাদান্দে। ৩৯ বলের ইনিংসে তিনি ৬টি চার মারেন। এছাড়া ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা করেন ৩৪ রান। ৩৮ বলের কার্যকরী ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। একা সিকন্দর রাজাই নন, জিম্বাবোয়ের মোট ৪ জন ব্যাটার খাতা খুলতে পারেননি।
বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ১৫ রান খরচ করে ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন মহম্মদ সইফুদ্দিন। ৪ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ১৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন মেহেদি হাসান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৫.২ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১২৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ২৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নেয় বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৪৭ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কা।
লিটন দাস ১ রান করে আউট হন। ২৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ১টি চার মারেন। ১৮ বলে ৩৩ রান করে নট-আউট থাকেন তৌহিদ হৃদয়। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। জিম্বাবোয়ের হয়ে ব্লেসিং মুজারাবানি ও লিউক ১টি করে উইকেট দখল করেন। সিকন্দর রাজা ৪ ওভারে ৩১ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি। ম্যাচের সেরা হন তাসকিন।