কদিন আগের ঘটনা। হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনির কাছে একটি গাছে উঠে উঁকিঝুঁকি মারছিল এক যুবক। তাই সেই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আবার শিরোনামে হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনি এলাকা। এখানে একটি ড্রোন উড়তে দেখে বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষ। সেটা আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশকে জানিয়েও দেয় তাঁরা। তখনই জেলা পুলিশের নির্দেশে ফালাকাটা থানা এবং মাদারিহাট থানার পুলিশ ড্রোন খুঁজতে অভিযানে নেমে পড়ে। ড্রোনের লোকেশন ট্র্যাকও করা যায়। ওই ড্রোনটি শেষ দেখা গিয়েছিল দক্ষিণ খয়েরবাড়ি জঙ্গল এলাকায় বলে সূত্রের খবর।
এদিকে ড্রোন যদি ট্যাক হয় আর দেখা যায় তাহলে সেটা খুঁজে পাওয়া যাবে। তাই ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ড্রোনের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েও হদিশ পায়নি পুলিশ। ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই এমন ঘটনায় হতবাক সকলেই। এখন অবশ্য যুদ্ধ বিরতি চলছে। তবে এই ঘটনার পর ড্রোন ব্যবহার নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে চলছে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ। বিয়েবাড়ি, রিলস, শর্ট ফিল্ম বা অন্য কাজে ড্রোনের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: নতুন জীবন শুরু করল কিশোর প্রতীপ, মা–কাকিমা–দিদিকে হারিয়েছে দে পরিবারের ছেলে
অন্যদিকে ওই ড্রোন গেল কোথায়? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ খুঁজে না পাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে এই এলাকার বাসিন্দারা নানা আশঙ্কা করছেন। তবে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশি বলেন, ‘জেলার কোথাও ড্রোন ব্যবহার করতে গেলে পুলিশের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। মানতে হবে নির্দিষ্ট কয়েকটি নিয়ম। সেই অনুমতি না নেওয়া হলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পুলিশ সূত্রে খবর, ড্রোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। তা দিয়ে অনুমতি স্থানীয় থানা থেকে নিতে হবে। এসব না মানলে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে গ্রেফতারও করা হবে।
কেন পুলিশ রাশ টানতে চাইছে? পুলিশ সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার জেলা সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর হাসিমারাতে রয়েছে বায়ুসেনা ছাউনি। যেখানে রাফালের মতো শক্তিশালী বিমান রাখা আছে। সামরিক সেনা ছাউনি আছে। ফালাকাটাতে আছে দুটি এসএসবি ক্যাম্প, জলদাপাড়া, বক্সার মতো জাতীয় উদ্যান এখানে রয়েছে। আবার আলিপুরদুয়ার গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশনও বটে। এমনকী যে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ তা হল, ভারত–ভূটান সীমান্ত এখানেই। এখান থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত খুব বেশি দূর নয়। তাই ড্রোন ব্যবহারে রাশ টানা হয়েছে।