মাত্র দেড় বছর আগে বিয়ে হয়েছে। তারই মধ্যে রহস্যমৃত্যু হল দম্পতির। বুধবার রাতে ঘর থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অমরখানা এলাকায়। মৃত দম্পতির নাম সুমন রায় এবং কাকলি রায়। তাౠঁদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দুই পরিবারে। তাঁদের দাবি, দুজনের মধ্যে কোনওরকমের অশান্তি ছিল না। তা সত্ত্বেও কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: হতাশায় কি ভুগছিলেন সৃ্ঞ্জয়? উঠে আসছে নেশা করার তথ্য🐠! তদ🐻ন্তে নেমেছে পুলিশ
জানা ꦫগিয়েছে, রাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন সুমন ও কাকলি। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজন দেখতে🍷 পান স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। সুমনের মামা বলেন, ‘দুজনের মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না। তাঁদের মধ্যে ভালো স🥂ম্পর্ক ছিল। তবে কোনও অশান্তি থেকেও থাকলে আগে থেকে আমাদের জানালে অবশ্যই আমরা কোনও পথ খুঁজে বার করতাম। গতকাল রাতে জামাইবাবু আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁরা ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। তারপর দেহ উদ্ধার করা হয়।’
কাকলির বাবা শচীন্দ্রনাথ রায় মেয়ে-জামাইয়ের এইভাবে মৃত্যুর বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তিনি জানান, তাঁদের মধ্যে কোনও ঝামেলা ছিল বলে জানা ছিল না। কেন এমনটা হল, বোঝা যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, ওই এলাকার একটি চিপস🌜 তৈরির কারখানায় কাজ করতেন সুমন। যুগলের আত্মহত্যার পিছনে কী কারণ রয়েছে তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলি🥂শ। আত্মহত্যা ছাড়াও অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। এরজন্য পুলিশ দুজনের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।