বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়ত সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, ‘পরিচয় চুরি’ করে তাঁর নামে ভুয়ো আধার এবং প্যান কার্ড দেখিয়ে দুটি ব্যাঙ্ক থেকে কমপক্ষে ৩৮ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। আর দুটি ব্যাঙ্কের তরফে ওই ব্যক্তিকে ঋণখেলাপী ঘোষণা করা হয়েছে। এখন তিনি সম্পত্তি হারানোর আশঙ্কায় আছেন। এই অবস্থায় কলকাতায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির পর মামলা ছাড়লেন বিচারপতি সৌমেন সেনও, ১০০ দিনের কাজে ধাক্কা
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম শুভদীপ মিত্র। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি ইএমআইয়ে মোবাইল ফোন কেনার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু, সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। তখন তিনি অবাক হয়ে যান। তিনি জানতে পারেন, দুটি ব্যাঙ্ক থেকে তাঁর নামে বড় পরিমাণে ঋণ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ২৭,২০,০০০ টাকা এবং পিরামল হাউজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ৯,১৯,০০০ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল। অথচ তিনি কোনওদিন ঋণের জন্য আবেদন করেননি বা টাকা পাননি বলেই দাবি করেন শুভদীপ।
তাঁর আরও দাবি, যে ব্যক্তি ঋণের জন্য তাঁর আধার এবং প্যান নম্বর ব্যবহার করেছিলেন তিনি আন্দুলের বাসিন্দা। তবে কার্ডে তাঁর ঠিকানা ছিল না। ছবিও ছিল না। ঘটনায় গত ডিসেম্বরে তিনি তোপসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও ঋণ প্রদানকারী সংস্থাটি জানায়, তাঁকে ঋণের টাকা ফেরত দিতে হবে না। কিন্তু, ব্যাঙ্ক ঋণের টাকা আদায়ের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে। এমন অবস্থায় শুভদীপ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর পরিচয় চুরি করা হয়েছে এবং ঋণ পেতে তাঁর আধার এবং প্যান কার্ডের অপব্যবহার করা হয়েছে।
তাঁর আরও অভিযোগ, আসল অভিযুক্তকে খুঁজে পাওয়ার পরিবর্তে তাঁর কাছে ঋণের টাকা আদায় করতে চাইছে ব্যাঙ্ক। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা যে নথির ওপর ভিত্তি করে ঋণ দেওয়া হয়েছে সেই নথি সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালে মামলা কোন অবস্থায় রয়েছে তাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। আগামী ১৬ মে মামলার পরবর্তী শুনানি।