তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলায় আগামী ৩০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। জানা গিয়েছে, কোচবিহারের দিনহাটা এলাকার ওই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাকি ভারী দাপট রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন এক মহিলা!
ওই মহিলার আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই নেতা তাঁর মক্কেলকে বলেছিলেন প্রাথমিক স্কুলে তাঁর চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। সেই অছিলায় তাঁকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয় এবং তখনই ওই চাকরিপ্রার্থীকে ধর্ষণ করা হয়।
এছাড়াও, ওই মহিলার কাছ থেকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ৫ লক্ষ টাকাও আদায় করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এমনকী, ধর্ষণের পর মহিলাকে খুনের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।
সায়ন জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় মোট দু'টি মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পরবর্তীতে তাঁর মক্কেলের উপর প্রবল চাপ দেওয়া হয়, তাঁকে মারধর পর্যন্ত করা হয়। যার জেরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। মহিলার বিরুদ্ধে পালটা মামলাও রুজু করা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা চলাকালীন বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, পুলিশ যেন ওই মহিলার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। সেই নির্দেশ দেওয়া হয় কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে।
আজ (বৃহস্পতিবার - ১৫ মে, ২০২৫) ফের ওই মামলা ওঠে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। তিনি সব শুনে জানান, অভিযোগকারিণীর জন্য যে পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছে, তা বহাল থাকবে এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যেই অভিযোগকারিণীর করা দ্বিতীয় মামলায় পুলিশকে আদালতে চার্জশিট পেশ করতে হবে।