লক্ষ্মীবারে বুল রানের আবির্ভাব ঘটল দালাল স্ট্রিটে। বৃহস্পতিবার সেনসেক্স ১২০০ পয়েন্টের বেশি লম্বা লাফ দিয়েছে সেনসেক্স। অন্যদিকে, নিফটি৫০ ৩৯৫.৬০ পয়েন্ট লাভের মুখ দেখেছে।শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গত কয়েকদিন ধরে ভারতের শেয়ার বাজার খানিকটা ওঠানামা করছিল। তবে সেখান থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তাই সেদিক থেকে দেখতে হলে বাজার খানিকটা ভাল পরিস্থিতির মুখ দেখেছে।
আরও পড়ুন-'আমার বাড়ি ভারত!' সংঘর্ষের আবহে সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ রুশ বধূর, দেখুন তাঁর আবেগঢালা ভিডিয়ো
বৃহস্পতিবার সকালে বাজার খুলেছিল লালে। মূল সূচকগুলির ছিল গ্রাফ নিম্নমুখী। আজ সকাল ৯ টা ১৬ নাগাদ নাগাদ বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সেনসেক্স ১০৮.৮০ পয়েন্ট কমে যায়। এদিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটিও ৩৮ পয়েন্ট নিম্নগামী হয়।কিন্তু বেলা বাড়তেই লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকগুলির গ্রাফ।দিনের শেষে ১২০০ পয়েন্ট উঠে ৮২,৫৩০.৭৪ অঙ্কে পৌঁছে গিয়েছে সেনসেক্স। যা সাত মাসে সর্বোচ্চ। এই সাত মাসের মধ্যে প্রথমবার ২৫ হাজারের ঘরে উঠে গিয়েছে সূচক নিফ্টি৫০ও। ৩৯৫.২০ এগিয়ে নিফটি থেমেছে ২৫,০৬২.১০ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন-'আমার বাড়ি ভারত!' সংঘর্ষের আবহে সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ রুশ বধূর, দেখুন তাঁর আবেগঢালা ভিডিয়ো
এদিন টাটা মোটরস সবথেকে বেশি লাভের মুখ দেখেছে। তারা ৪.১৬ শতাংশ বেশি লাভ দেখেছে। অন্যদিকে, এইচসিএল টেক লাফিয়েছে ৩.৫৬ শতাংশ। আদানি পোর্ট এদিন ফের উপরের দিকে থেকেই দিন শেষ করেছে। তারা ২.৬০ শতাংশ লাভ রেখেছে। অভ্যন্তরীন রপ্তানির ক্ষেত্রে ২.৩৬ শতাংশ বেড়েছে। মারুতি সুজুকি দেশের সেরা পাঁচটি লাভজনক সংস্থার মধ্যে ছিল। তারা লাভ করেছে ২.১৭ শতাংশ।ট্রেডে সেক্টরগুলির মধ্যে অধিকাংশের সূচকই ছিল গ্রিনজোনে। সেগুলি হল নিফটি মেটাল, নিফটি মিডিয়া, নিফটি ইনফ্রা, নিফটি কমোডিটিজ, এবং নিফটি কনজিউমার ডিউরেবলসের সূচক।বৃহস্পতিবার একমাত্র ইন্ডাসল্যান্ড ব্যাঙ্কের স্টক নেতিবাচক দিকে ছিল। তারা ০.১৬ শতাংশ নিচের দিক থেকে শেষ করে। সেনসেক্সের বাকি প্রায় সব শেয়ারই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। ফলে দিনের শেষে চওড়া হাসি ফুটেছে বিনিয়োগকারীদের মুখে।
পরিসংখ্যান বলছে, এদিনের সেশনে প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকা আয় হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। যার জেরে বিএসই-র আওতাধীন সংস্থাগুলির মূলধন বেড়ে হয়েছে ৪৪০ লক্ষ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন একে অপরের পারস্পরিক শুল্কের হার ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করায় প্রভাব পড়েছে ভারতীয় বাজারে।