পহেলগাঁওয়ে নির্মম সন্ত্রাসের বিরোধিতায় নেমে ‘অপারেশ সিঁদুর’এ পাকিস্তানকে মোক্ষম ধাক্কা দিয়েছে ভারত। ভারত যখন এই সন্ত্রাস বিরোধিতার অপারেশনে পাকিস্তানের পর পর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, তখন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায় তুরস্ক। ভারতের ‘অপারেশন দোস্ত’ ভুলে, জঙ্গি মদতদাতা পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তুরস্ক। ঘটনার পর থেকেই ভারত জুড়ে তুঙ্গে উঠেছে ‘বয়কট টার্কি’ রব। এরই মাঝে তুরস্ককে সেই বার্তা আরও জোরদার করে পৌঁছে দিতে, জেএনইউর পর পদক্ষেপ করল ভারতের জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিআরও অধ্যাপক সামিয়া সইদ বলেন,'আমরা তুরস্কের সাথে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের সাথে সমস্ত সমঝোতা স্মারক স্থগিত করেছি। জামিয়া দেশ এবং ভারত সরকারের সাথে রয়েছে।' তিনি সাফ জানিয়ে দেন তুরস্কের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌ চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এর আগে, তুরস্কের ইননৌ মালাত্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগত চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে জেএনইউ। জেএনইউ জানিয়েছিল জাতীয় নিরাপত্তাকে সামনে রেখে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। জেএইউর উপাচার্য শান্তশ্রী পণ্ডিত সাফ বলেছেন,' তুরস্ক প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে, এবং এটি উপেক্ষা করা যায় না।'
( ‘কোনও টিউশন নেই, রোজ সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা নিজে পড়া..’, বলছেন CBSE দশম শ্রেণির ১০০ শতাংশ প্রাপ্ত টপার)
( ভারত ‘ নিজের খেয়াল রাখতে পারবে’, এদেশে অ্যাপেল-র প্ল্যান্ট বাড়ুক.. চান না ট্রাম্প! বার্তা কুককে)
( বৃহস্পতিকে সঙ্গে নিয়ে কৃপা বর্ষণের মেজাজে আসছেন সূর্য! বৃষ, মীন, তুলায় কী কী লাভ?)
অপারেশ 'দোস্ত' -এ ভারত কীভাবে সাহায্য গিয়েছিল?
ঘটনা ২০২৩ সালের। সেবার তুরস্ক আর সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। ভূমিকম্পের সকালেই শোক প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী। আর সেই ভূমিকম্পে সিরিয়া আর তুরস্কের বিস্তীর্ণ এলাকায় বহুজন আহত ও মৃত হন। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩র সেই ভূমিকম্পে বহু ক্ষতি হয় তুরস্কের। সেই পরিস্থিতিতে আহতদের খোঁজা ও উদ্ধারের উদ্দেশে ছুটে যায় ভারত। শুরু হয় ভারতের ‘অপারেশন দোস্ত’। যে দেশের জন্য ভারত সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই তুরস্ক খোলাখুলি পাকিস্তানকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছে। যারপর থেকেই ভারতীয়দের মধ্যে তুঙ্গে রয়েছে ,'বয়কট টার্কি'র ডাক!