হরিয়ানার পঞ্চকুলার সৃষ্টি শর্মার সিবিএসই-র দশম শ্রেণির ফলাফল তাক লাগাচ্ছে। ১৬ বছরের হরিয়ানার এই কন্যা সিবিএসইর দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ নম্বর পয়েছে।তিনি বলছেন, রোজ ১৭ থেকে ১৮ ঘণ্টা, কিম্বা সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা ধরে তিনি পড়াশোনা করতেন বাড়িতে। গোটা পড়াশোনার পর্বটাই তিনি নিজে করতেন। ছিল না কোনও টিউশন। সৃষ্টির এই সাফল্যের সিক্রেট এখন আশপাশে অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা!
পঞ্চকুলার সেক্টর ১৫-এর ভবন বিদ্যালয়ের ১৬ বছর বয়সী ছাত্রীটি সামাজিক বিজ্ঞানে তার নিখুঁত নম্বরে মাত্র একটি নম্বর হারিয়েছেন। তবে, সিবিএসই-এর ‘বেস্ট অফ ফাইভ’ নিয়ম অনুসারে, যা পাঁচটি সেরা পারফর্মিং বিষয়ের স্কোর বিবেচনা করা হয়, সেখানে সৃষ্টি ৫০০তে৫০০ পেয়েছেন। হিন্দুস্তান টাইমসকে সৃষ্টি বলছেন,'আমি ইতিমধ্যেই জানতাম আমার ভুলটা কোথায়। সেটি একটি মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন ছিল এবং আমি একটি বোকা ভুল করে ফেলেছি। বাড়ি ফিরে আসার পর আমি কাঁদছিলাম।'
টিউশন ক্লাস নয়, স্ব-অধ্যয়নের উপর মনোযোগ দিন
হরিয়ানার এই কিশোরী জানিয়েছেন, যে সে তাঁর সহপাঠীদের মতো কোনও অতিরিক্ত কোচিং বা টিউশন ক্লাসে তিনি যেতেন না। বরং তার জায়গায় স্কুল থেকে পড়াশোনার যে সমস্ত মেটেরিয়াল দেওয়া হত, তাতেই মনোনিবেশ করতেন সৃষ্টি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন,'আমি কখনও কোনও অতিরিক্ত কোচিং ক্লাস নিইনি। স্কুলের দেওয়া সম্পদ থেকেই আমার পড়াশোনার বাকি ছিল। আমি প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০ ঘন্টা নিজের পড়াশোনার জন্য উৎসর্গ করেছি। কোনও NCERT বইয়ে লেখা একটি শব্দও আমার দ্বারা পড়া বাদ পড়েনি'।
তবে, এই কিশোরী দাবি করেছেন যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী বোধ করছিলেন। তিনি জানান, তাঁর শিক্ষক এবং বাবা-মা তাঁকে কেবল সেরাটা দেওয়ার জন্য এবং ফলাফল প্রকাশিত হলে অনুশোচনা না করার জন্য অনুপ্রাণিত করে গিয়েছেন। সৃষ্টি আরও বলেন,‘আমার বাবা আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তিনি সবসময় আমার উপর আস্থা রাখতেন এবং তিনি সবসময় জানতেন যে আমি এত ভালো পারফর্ম করতে পারব। তিনি কখনও আমাকে চাপ দেননি। আমি এত ভালো স্কোর করার আশা করিনি কিন্তু আমি জানতাম আমি আমার সেরাটা দিয়েছি’।
(আরও পড়ুন: )
শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ
সৃষ্টি এখন আইআইটি বোম্বে থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াকেই আপাতত লক্ষ্য হিসাবে স্থির করেছেন।অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য তাঁর সাফল্যের মন্ত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তিনি বলেন,'সবসময় নিজের উপর বিশ্বাস রাখো এবং কঠোর পরিশ্রম করো। যদি তুমি তা না পারো, তাহলে ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দাও এবং তোমার সেরাটা করার উপর মনোযোগ দাও। যদি তুমি এমন একজন ভালো মানুষ হও যে অন্যদের ছোট করে না দেখে, তাহলেই কেবল ভালো জিনিস তোমার পথে আসবে। যদি তুমি তোমার বইকে তোমার বন্ধু এবং পড়াকে তোমার শখ করে নাও, তাহলে এই ধরণের ফলাফল অর্জন করা সম্ভব'।