আবার সংবাদে জায়গা করে নিল মুর্শিদাবাদ জেলা। এখানে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। তাই নানা জিনিস এখান দিয়ে পাচার করার চেষ্টা হয়। একাধিকবার চোরাচালান রুখে দেওয়া হয়। এবার বিএসএফ এক অভিযানে ২১.৩৯ কেজি রুপোর গয়না উদ্ধার করেছে। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১৭ লক্ষ টাকা। এখানেই শেষ নয়, ১ হাজার ৫৭ বোতল ফেনসিডিল, ৭.৩ কেজি গাঁজা এবং ২৫টি ফিশ পিন বল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ফিশ পিন বলগুলির মোট আনুমানিক মূল্য প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএসএফের ৭৩তম ব্যাটালিয়নের বর্ডার আউটপোস্ট বামনাবাদের জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। কিন্তু নদীর কাছে যাননি। কিন্তু কিছুর শব্দ শুনে নদীর কাছে যান। তখন নদীর তীরে কয়েকজন ব্যক্তির পায়ের ছাপ দেখতে পান। যা জঙ্গলের ভিতরে পর্যন্ত গিয়েছে। ওই পায়ের ছাপ অনুসরণ করেই পাচারকারীদের হদিশ পায় বিএসএফ। তখন চারিদিক থেকে সকলকে ঘিরে ফেলা হয়। আর পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই পাঁচ জনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি রয়েছে। জেরায় তারা এগুলি বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এই কাজের বিনিময়ে তারা প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘এত সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে তো ৫০ হাজার লোক মারা যাবে’, রেগে গেলেন মমতা
কিন্তু এই সমস্ত জিনিস এল কোথা থেকে? এই প্রশ্নের অসংলগ্ন উত্তর দিচ্ছে তারা বলে বিএসএফ সূত্রে খবর। একই দিনে আরও দুটি ঘটনা ঘটেছে। জলঙ্গির জওয়ানরা গাঁজা আর বিদেশি মদ পাচারের অভিযোগে মুর্শিদাবাদ থেকেই এক বাংলাদেশের নাগরিককে গ্রেফতার করে। আবার হাকিমপুর সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে এক চোরাচালানকারীকে গ্রেফতার করে। এইসব খবরে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এমনকী মুর্শিদাবাদে সম্প্রতি যে হিংসার ঘটনা ঘটে ছিল তার সঙ্গে এইসব ঘটনার যোগ আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিএসএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় গ্রাম হাকিমপুরের উত্তরপাড়ায়। এই জায়গা থেকেই একজন চোরাচালানকারীকে গ্রেফতার করে। যার বাড়ি থেকে ২০.৫ কেজি গয়না এবং ৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গয়নার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৬.৫৫ লক্ষ টাকা। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে মাদকের চোরাচালান রুখে দেওয়া হয়। বিএসএফ জওয়ানরা প্রত্যেকদিন চোরাচালানকারীদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সফল হচ্ছেন।’