পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য়ে সম্পর্কের ক্রমশ অবনতি হয়েছে। আর এসবের মধ্য়ে বনগাঁয় পাকিস্তানের পতাকা সেঁটে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর ছক বানচাল করল পুলিশ। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ বড় ছকের পর্দাফাঁস করেছে।
এবার প্রশ্ন কারা রয়েছে এই কাজের পেছনে?
বনগাঁ পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
বনগাঁ পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে গোপালনগর থানার অন্তর্গত আকাইপুর রেল স্টেশনের পাশে একটা ওয়াশরুমের দেওয়ালে পাকিস্তানের পতাকা সাঁটানো হয়েছিল। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ইচ্ছাকৃতভাবে ওই পতাকাটা টাঙানো হয়েছিল। ৩০ বছর বয়সি চন্দন মালাকার ও ৪৫ বছর বয়সী প্রজ্ঞাজিত মণ্ডল দুজনেই স্থানীয় বাসিন্দা তারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে। তারা একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য। সনাতনী একতা মঞ্চেরও সদস্য তারা। তারা এই কাজের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। এমনকী তারা পরিকল্পনা নিয়েছিল হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ ও পাকিস্তান জিন্দাবাদ এই কথাগুলি লিখবে। এলাকায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর জন্য় তারা এই পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের উভয়কেই নির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। জানিয়েছে পুলিশ।
সেই সঙ্গেই বনগাঁ পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ধরনের কাজ করে যারা এলাকায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে রেয়াত করা হবে না।
কার্যত বিস্ফোরক দাবি করেছে পুলিশ। যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সনাতনী একতা মঞ্চের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু সামনে সনাতনী একতা মঞ্চের মোড়ক আর পেছনে অশান্তি ছড়ানোর ছক! কার্যত বিস্ফোরক অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে ওই দুজন ব্যক্তি জড়িত নাকি এর পেছনে আরও কোনও বড় মাথা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
কিছুদিন আগেই কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। তারপর থেকেই সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য়ে সম্পর্কের ক্রমশ অবনতি হয়েছে। এসবের মধ্য়েই এই ভয়াবহ ষড়যন্ত্র ফাঁস করল বনগাঁ পুলিশ।
সেই সঙ্গেই পুলিশ সতর্ক করেছে এই ধরনের চক্রান্ত করা হলে করা হলে তা পুলিশ কড়া হাতে দমন করবে। এমনকী তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে তাদের মতলব ছিল দেওয়ালে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান লিখবে। তারপরে কি অন্য়ের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর ছক?