এক সময় শিষ্য ছিলেন। সেই শিষ্যের কাছেই প্রতারিত হলেন গুরুজি। কয়েক কোটি টাকা অনুদান পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন জয়পুরের একটি আশ্রমের ওই গুরুজি। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক হাজার টাকা তুলে নিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গুরুজির অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁর শিষ্য কলকাতার বাসিন্দা। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন গুরুজি। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে সপরিবারে উধাও প্রাক্তন শিক্ষক, হতবাক স্থানীয়রা
জানা গিয়েছে, কলকাতার শিষ্যের বিরুদ্ধে গুরুজি অভিযোগ জানিয়েছেন জয়পুর থানায়। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতার ওই বাসিন্দা একসময় তাঁর ছাত্র ছিলেন। আগে তিনি কলকাতার অনেক ছাত্রকে টিউশন পড়িয়েছেন। ২০ বছর পর হঠাৎ করে ওই ছাত্রের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ গুরুজির দাবি, আগে তিনি টিউশন পড়াতেন। পরে তিনি আশ্রমিক জীবন বেছে নেন। বর্তমানে জয়পুর ও বিষ্ণুপুরে তাঁর বেশ কয়েকটি আশ্রম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত বছর কলকাতায় যখন ওই ছাত্রের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়, তখন ওই ছাত্র আশ্রমের কথা জানতে পেরে আনন্দিত হয়েছিলেন। এরপর আশ্রমের উন্নয়নের জন্য ১২ কোটি টাকা অনুদান পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ছাত্রের সেই কথা সরল মনে বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন গুরুজি।
অভিযোগ অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে এই টাকা দেওয়ার কথা ছিল। তবে টাকার খরচ বাবদ কিছু টাকা তোলার প্রয়োজন বলে ওই ছাত্র গুরুজিকে জানিয়েছিলেন। সেইমতো গুরুজি ছাত্রের ওপর বিশ্বাস করে তাঁকে দুটি ফাঁকা চেক সই করে দিয়েছিলেন। কিন্তু, জানা যায়, সেই চেক ব্যাঙ্কে জমা করে প্রথমে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা তোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অত টাকা না থাকায় চেক বাউন্স হয়ে যায়। পরে জানা যায়, গুরুজির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
গুরুজির অভিযোগ, সেই টাকা তুলে নেওয়ার পরেও অনুদানের টাকা ঢোকেনি গুরুজির অ্যাকাউন্টে। এরপরে ওই ছাত্রের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করেন গুরুজি। সেখানে ওই ছাত্র গুরুজিকে পার্কস্ট্রিটে একটি অফিসে নিয়ে যান। সেখানে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেন। কিন্তু, তাতে বিশ্বাস হয়নি গুরুজির। কিন্তু, তিনি পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন। আসলে মানুষকে ঠকিয়ে বেড়ানোই কাজ ওই ছাত্রের। এরপরই দেরি না করে ছাত্রের বিরুদ্ধে জয়পুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গুরুজি।