অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আর টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া অযোগ্যদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। যারা এই টাকা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবিগুলি তুলে গত বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার কাণ♍্ড ঘটে যায় সল্টলেকের বিকাশ ভবনে। বিকাশ ভবন অভিযানে নামে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের অধিকার মঞ্চ। গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন চাকরিহারারা। আবার সন্ধ্যায় সরকারি কর্মীদের বাড়ি যেতে না দিয়ে ঘেরাও করা এবং পুলিশকে আক্রমণ করার অভিযোগে লাঠিচার্জ নেমে আসে তাঁদের উপর। এই ঘটনায় আজ, শনিবার এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রিম সরকারের দাবি ওড়ালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি তুঙ্গে।
আজ, শনিবার দুপুরে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন আইএনটিইউসি সেবাদল। এদিন তারা মিছিল করে এসে বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক–শিক্ষিকাদের আন্দোলন মঞ্চে জমায়েত করে। আই এনটিইউসি সেবা দলের এক কর্মী রবীন্দ্রনাথের ছদ্মবেশে গোলাপ ফুল হাতে নিয়ে দ𒆙াঁড়ায় পুলিশ অফিসারদের সামনে। এই লাঠিচার্জের বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার বলেছিলেন, ‘দশদিন ধরে চাকরিহারা শিক্ষকরা বিকাশ ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছেন। পুলিশ সহযোগিতা করছে। তবে বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি পাল্টে যায়। চাকরিহারাদের একাংশ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিকাশ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করে। জোর করে ঢুকতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধাক্কাধাক্কি হয়। গেট ভাঙার সময়ও বলপ্রয়োগ করা হয়নি। সাত ঘণ্টা ধরে পুলিশ তাঁদের বুঝিয়েছে। তারপরেও পুলিশ সংযত, সহনশীল ছিল। ধৈর্য ধরেছে। পরে পুলিশ সামান্য বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়।’
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চ থেকে মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন দম্পতি, হাওড়ার বাধাঘাটে তারপর কী ঘটল?