বঙ্গোপসাগরে সময়ের আগে এগোচ্ছে বর্ষা। আরও তারই মধ্যে সাগরে জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার অন্তত ১টি আঘাত হানতে পারে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে। তবে বর্ষার মুখে এই ঘূর্ণিঝড় আদৌ তৈরি হবে কি না, আর তৈরি হলে তার গতিমুখ কী হবে ত🅘া নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য তৈরি বিভিন্ন মডেলগুলি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বিভিন্ন মডেল তুলনা করে দেখা যাচ্ছে আগামী ২০ মে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বা তার কাছ দিয়ে একটি নিম্নচাপ ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলি ও দুই ২৪ পরগনায় এর প্রভাব পড়তে পারে। আরেকটি পূর্বাভাস🐭 বলছে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ঘূর্ণাবর্তটি দাক্ষিণাত্যের উপদ্বীপের ওপর দিয়ে আরব সাগরে প্রবেশ করতে পারে। এর পর সেটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড✨়ের আকার নিতে পারে। ২৫ বা ২৬ মে গুজরাত উপকূলের কাছে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে সেটি।
পূর্বাভাস অনুসারে প্রায় একই সময় বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যা ২৮ মে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গꦓ বা বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে। তবে ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারবে কি না তা নিয়ে মতান্তর রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের কিছু জায়গায় এই নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অতিভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উত্তরপূর্ব ভারতে বর্ষার আগাম প্রবেশ ঘটবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা। এমনকী আরব সাগরে আগে ঘূর্𒅌ণিঝড় তৈরি হলে বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত কতটা শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে তা নিয়েও সন্দিহান তারা।
বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আলটিমার কর্ণধার রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলেন, ‘বর্ষা প্রবেশের সময় মধ্যমেয়াদী পূর্বা﷽ভাস করা খুব মুশকিল। কারণ এই সময় বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন ফ্যাক্টরের দ্রুত পরিবর্তন ঘটে। তবে এটুকু বলতে পারি, মে-র শেষে যদি পশ্চিমবঙ্গে কোনও༒ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে তাহলেও তা খুব বেশি শক্তিশালী হবে না।’