পাকিস্তানের ব🅺িরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ করে পহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। আর তাতেই সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছেন দেশের তামাম বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রীরা। হামলার ১৫ দিনের মাথায় এমন যোগ্য জবাব দেওয়ায় দেশবাসী এখন আনন্দিত। সিঁদুরের জবাব পাল্টা সিঁদুরে মেঘ দেখিয়ে দিয়েছে ভারত। এই আবহে ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর পরই এবার গোটা পুলিশবাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিল লালবাজার। কারণ যে কোনও মুহূর্তে অঘটন ঘটতে পারে। অর্থাৎ দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এই আবহে ব্ল্যাক আউট থেকে শুরু করে সাইরেন বাজতে পারে। তখন নাগরিকদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে জীবনযাপন স্বাভাবিক রাখতে ♎এখন থেকেই পুলিশবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত লোকাল থানাকে চারদিকে খোঁজ রাখতে বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা এলাকা ভিত্তিতে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্থানীয় ক্লাব–সহ নানা সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। যাতে একদিকে নাগরিকদের প্রস্তুত রাখা যায়। না হলে প্যানিক তৈরি হবে। অপরদিকে পুলিশের সাহায্য যাতে পায় মানুষজন।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেসে বহু প্রতীক্ষিত সাংগঠনিক রদবদলের তোড়জোড়, কবে হবে এই বদল?
অন্যদিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। এখন যেন আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ না থাকে। সবাই আমরা দেশের পক্ষে।’ আর লালবাজারের পক্ষ থেকে রাতের বেলায় বিশেষ করে অফিসারদের বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে তলব করা মাত্রই উপস্থিত হতে পারেন তাঁরা। পুলিশকর্মীদের সবাইকে উপস্থিত নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়𒉰া হয়েছে। যাতে শহরের নাগরিকরা কোনও সমস্যায় পড়লেই যেন পুলিশের সাহায্য পায়।
তাছাড়া ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এককাট্টা হয়েছে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াইতে তাঁরা এক সঙ্গে আছেন। আজ আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কারণ আজও তিনি ছিলেন না। গোটা দেশের পরিস্থিতি এখন জটিল হয়ে পড়ছে।♏ এই আবহে কলকাতা শহরের স্পর্শক𒈔াতর এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিরাপত্তা নতুন করে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদ পুলিশবাহিনীকে বার্তা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।