'মুসলিম-কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে যাবেন না।' দেশবাসীকে এমনই আর্জি জানিয়েছেন পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহত ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী হিমাংশী নারওয়াল। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জন নিরীহ মানুষের। তারমধ্যে ছিলেন নৌসেনা অফিসার বিনয় নারওয়ালও। কাশ্মীরে হানিমুনে গিয়ে স্ত্রীর সামনেই জঙ্গির গুলিতে নিহত তিনি। সুখী সংসারের মেয়াদ ছিল মাত্র ৬ দিন।
আরও পড়ুন-বিধ্বংসী দাবানলে লণ্ডভণ্ড ইজরায়েল! জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর
বৃহস্পতিবার পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহত নৌসেনা অফিসার বিনয় নারওয়ালের ২৭-তম জন্মদিন ছিল। এই বিশেষ দিনে তাঁর স্ত্রী গুরুগ্রামের পিএইচডি স্কলার হিমাংশী বলেন, 'আমি চাই দেশের মানুষ ওর জন্য প্রার্থনা করুক। ও যেখানেই থাকুক, সুস্থ থাকুক এবং সুখী থাকুক।' হেলগাঁওয়য়ের ঘটনার পর দেশজুড়ে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়েও কথা বলেছেন হিমাংশী। তিনি বলেন, 'আমরা চাই না, দেশের মানুষ যেন মুসলিম অথবা কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে না চলে যায়। আমরা শুধু শান্তি, শুধু শান্তি চাই। অবশ্যই আমরা বিচার হোক চাই।'
এদিন নিহত নৌসেনার জন্মদিন উপলক্ষে বিনয়ের বাড়ি হরিয়ানার কারনালে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। স্বামীর ছবিতে মাল্যদান করতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন হিমাংশী।
আরও পড়ুন-বিধ্বংসী দাবানলে লণ্ডভণ্ড ইজরায়েল! জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর
মাত্র ২ বছর আগেই ভারতীয় নৌসেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন বিনয়। কোচিংয়ে পোস্টিং ছিল তাঁর। বিয়ে ও নিজের জন্মদিনের জন্য ৪০ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। গত ৪ এপ্রিল হিমাংশীর সঙ্গে বাগদান সারেন বিনয়। ১৬ এপ্রিল বিয়ে হয় তাঁদের। এরপরই হানিমুনের জন্য কাশ্মীর যান নববিবাহিত সম্পতি। পহেলগাঁও-কাণ্ডের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল। ফাঁকা বৈসরন উপত্যকায় পড়ে রয়েছে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত নিথর দেহ। তাঁর দেহের পাশে হাঁটু মুড়ে মাথাটা সামান্য ঝুঁকিয়ে ওই ব্যক্তির দিকে চেয়ে আছেন এক মহিলা। পরে জানা যায়, ওই ব্যাক্তি ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়াল।