মার্গশীর্ষ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীতে গীতা জয়ন্তী পালিত ♔হয়। চলতি বছরের ২৩ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী। গীতা হিন্দু ধর্মের একটি পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ। গীতা ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শিক্ষা বর্ণনা করে। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ময়দানে যখন অর্জুনের পদক্ষেপ টলতে শুরু করে তখন ভগবান শ্রী কৃষ্ণ অর্জুনের মাধ্যমে বিশ্বকে গীতার পাঠ শিখিয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা শুনে অর্জুন তার লক্ষ্য অর্জনের দিকে অগ্রসর হন। ব൲লা হয়ে থাকে জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান গীতায় পাওয়া যায়। গীতায় বলা শ্রীকৃষ্ণের বাণী আজও আমাদের জীবনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। এমন পরিস্থিতিতে আপনিও যদি সফল হতে চান তবে গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে গীতার কিছু শিক্ষা অবশ্যই পড়ুন।
রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ:
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, গীতা প্রচার করার সময়, অর্জুনক🔜ে বলেন যে ক্রোধের কারণে সমস্ত ধরণের কাজ নষ্ট হতে শুরু করে। মানুষের পতন শুরু হয় রাগের কারণে। এছাড়াও ব্যক্তি ভালো এবং খারাপ ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য করতে ভুলে যায় এবং সে পতনের পথে এগোতে শুরু করে। তাই রাগ করা এড়িয়ে চলা উচিত।
অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগ এড়িয়ে চলুন:
শ্রী কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন যে, অযথা চিন্তা করতে না। সবাইকে একꦬদিন মরতে হবে, আত্মা জন্মায় না মরে ন♌া। আত্মা অমর, তাই অপ্রয়োজনীয় দুশ্চিন্তা ত্যাগ করে কর্মের পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
মনকে নিয়ন্ত্রণ করো:
প্রত꧑িটি মানুষের উচিত তার মনকে নিয়ন্ত্রণ করা। ♛গীতার শিক্ষায়, শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যে ব্যক্তি তার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছে সে সহজেই সমস্ত বাধা অতিক্রম করতে পারে। তাই একজন ব্যক্তির সর্বদা তার মনকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
ফলাফলের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ কর এবং কর্মে মনোযোগ দাও:
শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে মানুষের উচিত তার ফলাফলের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করে তার কাজে মনোনিবেশ করা উচিত। মানুষ𝄹 যে কাজই করুক না কেন, সেই অনুযায়ী সে ফল পায়, তাই ভালো কাজ করতে থাকো।