প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় রাখি বন্ধন উৎসব। এই দিনে বোনেরা তাদের ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বাঁধেন। তাদের মিষ্টি খাওয়ান। অন্যদিকে, ভাইরা তাদের বোনদের রক্ষা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এই উৎসবকে ভাই-বোনের অটুট ভালোবাসা ও উৎসর্গের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মানুষ অনেক দিন আগে থেকেই এই উৎসবের প্রস্তুতি শুরু করে। কিন্তু কখনো কী ভ𓂃েবে দেখেছেন, এই উৎসব পালন করার পিছনের ইতিহাস। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, ১০০ টি অপরাধ করার পর যখন শ্রী কৃষ্ণ শিশুপালকে হত্যা করার জন্য যুদ্ধ করছিলেন, তখন শ্রী কৃষ্ণের তর্জনী কেটে রক্তপাত শুরু হয়েছিল। তারপর দ্রৌপদী তার শাড়ির আঁচলের একটা টুকরো ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। তখন শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি🔥লেন। এর পরে, শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীর ভরা সভায় বস্ত্র 🧔অপসারণের সময় তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে রাজা ধৃতরাষ্ট্রের দরবারে দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করেছিলেন। তখন থেকেই এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভগবত পুরাণ এবং বিষ্ণু পুরাণের ভিত্তিতে, এটি বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান বিষ্ণু যখন রাজা বলিকে পরাজিত করে তিনটি জগতের অধিকার নিয়েছিলেন, তখন বলি আশীর্বাদ স্বরূপ ভগবান বিষ্ণুকে তাঁর প্রাসাদে থ♕াকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। ভগবান বিষ্ণু এই অনুরোধে রাজি হলেন। এর ফলে ভগবান নিজের বরেই আটকে গেলেন। এমতাবস্থায় মা লক্ষ্মী নারদ মুনির পরামর্শ নিলেন। এরপর মা লক্ষ্মী রক্ষা সুতো বেঁধে বলীকে ভাই বানিয়ে দেন। এতে বলি লক্ষ্মীরকে কাঙ্খিত উপহার চাইতে বলেন। মা লক্ষ্মী রাজা বলিকে রাখি বেঁধে ভগবান বিষ্ণুকে বৈকুণ্ঠে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপহার চেয়েছিলেন।