আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর পুজো করা হয়ে থাকে। চলতি বছর ১৯ ও ২০ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজো। লক্ষ্মী নিজের ভক্তদের ধন-সম্পদ ও মনোস্কামনা পূরণের আশীর্বাদ দেন এবং অলক্ষ্মী বিনাশ করেন। ভাগবত্ পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ ও ব্রহ্মা পুরাণ অনুযায়ী, ঋষি ভৃগুর স্ত্রী খ্যাতির গর্ভে লক্ষ্মীর জন্ম। অন্য দিকে শতপথ ব্রাহ্মণে ব্রহ্মা থেকে লক্ষ্মীর উৎপত্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। আর্দ্রা, গজশুণ্ডাগ্রবতী, পুষ্টিরূপা, পিঙ্গলবর্ণা, পদ্মমালিনী, চন্দ্রাভা, হিরণ্ময়ী, ষষ্টিহস্তা, সুবর্ণা, হেমমালিনী, সূর্যাভা ইত্যাদি নানা নামে লক্ষ্মীকে সম্বোধন করা হয়ে থাকে। মাটির মূর্তি, সরা ইত্যাদি নানা রূপে লক্ষ্মী পূজিত হন বাংলার🥀 ঘরে ঘরে। বাড়িতে পুরোহিত ছাড়াই কী ভাবে লক্ষ্মীপুজো করবেন জেনে নিন—
১. প্রথমে চারিদিকে এবং যে বা যাঁরা পুজো করবে✱ন তাঁদের মাথায় গঙ্গা জল ছিটিয়ౠে নিন।
২. তার পর নারায়ণকে স্মরণ করে প🍎ূজা শুরু করুন।
৩. পুজোর স্থানে একটি তামার পাত্রে জল রাখুন। সূর্যকে এই জল অর্পণ করতে হবে। সূর্যকে স্মꦰরণ করে তামার পাত্রে জল ঢালতে ঢালতেই সূর্যকে স্মরণ করুন।
৪. মাটির একটি গোল ডেলাকে সমান ক🎶রে তার ওপর ঘট বসান। ঘটের সামনে ⭕ধান ছড়িয়ে দিতে হবে।
৫. ঘটে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন।
৬𓂃. এবার ঘটে গঙ্গা জল ভরে তার ওপর আম্রপল্লব রাখুন। আম পাতার ওপর তেল ও সিঁদুরের ফোঁটা দিয়ে দেবেন। পাতার ওপর হরিতকী, ফুল, দূর্বা রাখুন।
৭. ঘট স্থাপনের পর ধ্যান মন্ত্রে লক্ষ্ম𝄹ীক♈ে প্রণাম করুন। মন্ত্রটি হল-
ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ।
পদ্মাসনাস্থাং ধায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্য মাতরং।।
গৌরবর্ণাং স্বরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কারভূষি তাম্।
রৌক্নোপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।
এই মন্🅷ত্র কঠিন মনে হলে, ভুল উচ্চারণ না-করাই শ্রেয়। সেক্ষেত্রে লক্ষ্মীকে স্মরণ🍌 করে প্রণাম করুন।
৮. এবার🔜 লক্ষ্মীকে আহ্বান করুন। হাত জোর করে লক্ষ্মীকে স্মরণ করে বলুন, ‘এসো মা আমার গৃহে প্রবেশ করো। আমার গৃহে অধিষ্ঠান করো। আমার এই সামান্য আয়োজন, নৈবেদ্য গ্রহণ করো মা।’
৯. এর পর লক্ষ্মীর পা ধুয়ে দিতে হবে। লক্ষ্মীর পায়ে ও 🦹আলꦛপনা দিয়ে আঁকা পায়ে জলের ছিটে দিন।
১০. এবার ঘটে আতপ ♑চাল, দূর্বা, ফুল ও চন্দন দিন। তার পর এক এক করে লক্ষ্মীকে ꦬসব অর্পণ করুন।
১১. ফল, মিষ্টি ইত্যাদি নৈবেদ্য দিন। ধূপ ধুনো দ𓆉েখান। ১২. অর্পণ করার পর এবার পুষ্পাঞ্জলি দিতে হবে। হাতে ফুল নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র বলে তিন বার অঞ্জলি দিতে হবে। মন্ত্রটি হল-
নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।
১৩. তার পর লক্ষ্মীর বাহনকে ফুল দিন এবং নারায়নকে স্মরণ করে ঘটে ফুল দিতে হবে। এবার ইন্দ্র ও কুবেরকে স্মরণ করে ঘটে 𝓰ফুল দিন। তারপর লক্ষ্মীকে প্রণাম করুন।
১৪. অবশেষে লক্ষ্মী পাঁচালী পড়ে পুজো সম্পন্ন করুন।
- যে বিষয়গুলিলক্ষ্মী পুজোয় কাঁসর, ঘণ্টা বাঁজাবেন না। এতে লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হন। শুধু শাঁখ বাঁজাবেন।
- লক্ষ্মীর ঘটে তুলসী পাতা দেবেন না।
- লোহার বাসন ব্যবহার করবেন না।
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো সাধারণত সন্ধে বেলা করা হয়। তবে অনেক♉ে সকালেও 🎃করে থাকেন। সকালে করলে ৯টার মধ্যে করে নেওয়াই শ্রলক্ষ্মী পুজোর আরও কিছু মন্ত্র—
লক্ষ্মীর স্তোত্র
লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ।
স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।।
বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী।
ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।
শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর স্তোত্রম্
ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।
যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।
ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।
পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।
দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।
শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র
ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।
ভুলে গেলে চলবে না