উৎসবের দেশ ভারত, ঐতিহ্য ও প্রথায় মোড়া একটা বৈচিত্র্যময় দেশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা য💞ায়, যেকোনো পূজাপার্বণে বাড়ির সকল মানুষ আনন্দের সঙ্গে রীতিনীতি পালন করেন। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই অভ্যাসগুলির পিছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণটি কী? বাঙালি সমাজেই বিশেষত এমনই ধরনের প্রথা প্রচলিত, যা মা-দিদিমাদের পরামর্শ মেনে তো নেওয়া হয়। কিন্তু মানা হয়, তা জানেন না অধিকাংশই। যেমন, সরস্বতীর পূজার পরের দিন বাড়িতে খাবার তৈরি করা হয় না, আগের দিনের বাসি খাবার খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু এই বাসি খাবার খাওয়ার ম♔ূল কারণ জানেন কি?
- বাংলায় প্রচলিত প্রথা
ব🐟াংলায়, বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়, তার পরের দিন একটি উৎসব হয়, যা শীতল ষষ্ঠী নামে পরিচিত। এই উৎসবটি বিশেষ করে বাঙালি মায়েরা সন্তানদের জন্য মা ষষ্ঠীর আশীর্বাদ পেতে উদযাপন করেন। এই দিনে বাড়িতে গরম খাবার খাওয়া হয় না বা রান্নাঘরে আগুন জ্বালানো হয় না। এই দিনের জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধরণের ঠান্ডা খাবার আগের রাতে তৈরি করে রাখা হয়।
- শীতলা ষষ্ঠীতে ঘরে উনুন জ্বলে না
অনেক জায়গায় শীতলা ষষ্ঠীতে নয় ধরনের গোটা ডাল ও সবজি এবং ঠান্ডা ভাতের মিশ্রণ নিবেদন করা হয়। তারপরে এই খাবারটি পুরো পরিবার ভোজন করে। বেশিরভাগ বাঙালি পরিবারে এই দিনে চুলা জ্বালানো হয় না। এদিন সকালে স্নান সেরে আচাꦚর-অনুষ্ঠান অনুযায়ী চুলা ও চুলায় পুজো করার রীতি রয়েছে। মায়েদের মতে, এটি শীতলা ষষ্ঠী, তাই এই দিনে গরম খাবার না খেয়ে আগের দিন ঠান্ডা রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত।
- সিদ্ধ খাবার শরীরের জন্য পুষ্টিকর
এর পেছনে একটি বৈজ্ঞানিক কা👍রণ লুকিয়ে আছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন সিদ্ধ খাবার খুবই পুষ্টিকর। এই ঋতুতে গুটি বসন্ত, ইনফেকশন ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অনেক মারণ রোগ ছড়ায়, যার কারণে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এই খাবার সিদ্ধ করে খাওয়া হয়। এই খাবারটিকে ডাক্তাররা স্বস্তিদায়ক এবং পুষ্টিকর খাবার হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও, শীতলা ষষ্ঠীর এই দিনে ৬ ধরনের মৌসুমি সবজি একসঙ্গে সিদ্ধ করে খাওয়া হয়, বাংলা ভাষায় এই খাবারটিকে গোটা বীজ বলা হয়। এগুলিও বৈজ্ঞানিক মতে স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারি।