বহু জল্পনার🃏 পর্ব পার করেই সদ্য বীরভূমের মাটিতে অনুব্রত মণ্ডলের পা রাখার পরই শনিবার তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছে কাজল শেখের। ঘটনাস্থল বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়। দুই নেতার সম্পর্ক ঘিরে জল্পন꧋া ছিল আগেই, তারই মাঝে জল্পনা আরও উস্কে দেয় গত বুধবার কাজল শেখের ভাষণের কিছু অংশ। এরপর শনিবার বিকেলে বীরভূমের দলীয় কার্যালয়ে ‘দাদা’ অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে যান বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। দুঁদে দুই নেতার বৈঠক নিয়ে নানান জল্পনা চড়ছে।
শোনা যাচ্ছিল রবিবার বিকেলে কলকাতায় আসতে পারেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে রবিবার তাঁকে দেখা যায় বীরভূমে মা কঙ্কালীর মন্দ♕িরে। সেখানে চোখের জলে আবেগপূর্ণ অবস্থায় দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিকে, জল🎀্পনা ছিল, রবিবারের পরই সম্ভবত কাজল শেখের সঙ্গে আলাদা করে একান্ত বৈঠকে বসতে পারেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বৈঠক সোমবার হতে পারে বলেও জল্পনা রয়েছে।
এর আগে, শনিবার দুই তারকা নেতার দেখা হওয়ার সময় বিভিন্ন দৃশ্যের কোলাজ উঠে আসে। তারই মধ্যে একটি দৃশ্য ছিল, যেখানে অনুব্রত মণ্ডলকে ওদেখা যায় তিনি ফোনে ভালো করে কারোর নম্বর খুঁজছিলেন। ফোন অনেকবার ধরে ঘেঁটে দেখার পরই নম্বরটি খুঁজে পেয়ে বলেন, ‘তোর নম্বর আমার কাছে সেভ করা আছে দেখ।’ মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করছে, ফোনে কাজলের নম্বরই খুঁজছিলেন অনুব্রত। সেটি খুঁজে পেতেই তিনি কাজলকে বলেন, তাঁর কাছে নম্বরটি সেভ করা আছে।
এদিকে, শনিবারের বৈঠকে কাজল শেখ ও অনুব্রত মণ্ডলের সাক্ষাতের পর দু'জনের মুখেই হাসি দেখা যায়। জানা গিয়েছে, নানুর ও সন্নিহিত এলাকার খোঁজ নিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে সেখানে হাজির ছিলেন নানুরের আরও বেশ কয়েকজন নেতা। শোনা যাচ্ছে, কলকাতায় অনুব্রত মণ্ডল চিকিৎসার জন্য যাবেন, সেখান থেকে ফিরেই তিনি কাজল শেখের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন। এর 🦄আগে বুধবার পার্টি অফিসে কাজল শেখ বেশ কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন পার্টি কর্মীদের প্রতি। সেই সভা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমে ফিরতেই, তবে সভায় ছিলেন না অনুব্রত। বুধবার কর্মীদের প্রতি বক্তব্যে অনুব্রত বলেন,'অনেক ঘাটের জল পেটে আছে, অনেক ঘাটের জল পেটে আছে। আমার চাওয়া-প💦াওয়ার কিছু নেই। আমি সব খেলা খেলতে জানি। দাবা খেলাও খেলতে জানি, হাডুডুও খেলতে জানি। খেলা হবে গান শুনিয়ে লাভ হবে না বন্ধু। '