শুরু হয়ে গেল ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া। কথা অনুযায়ী কাজ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী রেড রোডের ধরনা থেকে ঘোষণা করেছিলেন ১০০ দিনের কাজের টাকা রাজ্য সরকার দিয়ে দেবে। কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা বকেয়া রেখেছে সেই টাকা রাজ্য সরকার দেবে। আগামীকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ এই পাঁচদিন ধরে মেটানো হবে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা। তবে এবার জিটিএ–সহ ২২টি জেলাকে ১০০ দিনের কাজের ট⭕াকা মেটাল রাজ্য সরকার। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে সামনে লোকসভা নির্বাচন। নির্ঘণ্ট ঘোষণা এখনও হয়নি। তবে আগামী ১৪ মার্চ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। তার আগে এই ১০০ দিন🦂ের টাকা গরিব মানুষের অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেলে তার প্রভাব পড়ꦉবে ভোটবাক্সে। তার মধ্যে এই রাজ্যের নানা জেলার সঙ্গে জিটিএ–এর অন্তর্গত জেলার মানুষজনের ১০০ দিনের কাজের টাকাও বকেয়া ছিল। জিটিএ–এর টাকা আগে দেওয়া শুরু হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য যে পাহাড় সেটা একেবারে নিশ্চিত। কারণ এখানে বিজেপি সাংসদ মানুষের জন্য কোনও কাজ করেননি বলে অভিযোগ। সেখানে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী না হয়ে বকেয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা মেটানো শুরু করল নবান্ন।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের সরকার যতদিন বাংলায় থাকবে🦋 কেউ ভাতে মারতে পারবে ๊না’, বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের
অন্যদিকে রাজ্য সরকার এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই𝕴 একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা জিটিএ–সহ রাজ্যের ২২টি জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই ১০০ দিনের কাজের মজুরি বাবদ বকেয়া দু’হাজার ৬৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ রিলিজ করা হয়েছে। এই টাকার মধ্যে জিটিএ’র প্রাপ্য ১২৯ কোট💃ি ৪২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭২৮ টাকা। ২৬ ফেব্রুয়ারি, সোমবার থেকে সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরি পাঠানো শুরু করতে হবে। তা শেষ করে ফেলতে হবে ১ মার্চের মধ্যে।
এছাড়া আজই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মহেশতলা থেকে জানিয়েছেন, বাংলায় যতদিন তৃণমূল কংগ্রেস সরক𒆙ার থাকবে ততদিন চেষ্টা করেও এখানকার মানুষজনকে ভাতে মারতে পারবে না। আর এই ১০০ দিনের কাজের টাকার বিষয়ে জিটিএ’র মুখপাত্র এসপি শর্মা বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার শুধু নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে রাজ্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র বুঝতে পারেনি যে, এতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে খেটে খাওয়া মানুষদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। রাজ্য সরকার সে বিষয়ে চিন্তা করেছে এবং রাজ্য সরকারই ১০০ দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দিচ্ছে। পাহাড়ের মানুষ বুঝতে পারবেন, কে তাঁদের ভাল চায়। রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত আগামী লোকসভা নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে।’