ꦉ পুজোর মধ্যেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ৩ বোন। তারা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল কন্যাশ্রীর টাকা। অবশেষে তাদের উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানার তিলাবানি এলাকার। পরিবারের ঠিক করে দেওয়া বিয়েতে রাজি না থাকায় তিন বোন বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। রবিবার তিন বোনকে দমদম থেকে উদ্ধার করে ফরিদপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: ไহঠাৎ নিখোঁজ ১৩ বছরের নাবালিকা, বাড়ি থেকে কোথায় গেল? তোলপাড় বোলপুর
🍷জানা গিয়েছে, তিন বোনের বয়স হল যথাক্রমে ২০ বছর, ১৭ এবং ১৬ বছর। ২০ বছর বয়সি বড় বোন পাণ্ডবেশ্বর গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। মেজো বোন বীরভূমের পাথরচুপরি হাইস্কুলের ছাত্রী এবং ছোট বোন লাউদোহা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির পড়ুয়া। পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় মেয়ে এবং মেজো মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিল তাদের পরিবার। কিন্তু, সেই বিয়েতে তারা আপত্তি জানিয়েছিলেন তারা। এখনই বিয়ে না করে তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল।
ꦯকিন্তু তাদের আপত্তিতে কর্ণপাত করেনি পরিবার। তাই শেষপর্যন্ত তিন বোন মিলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২২ অক্টোবর পুজোর মধ্যেই তারা কন্যাশ্রী টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে আসানসোলে যায় । এরপর সেখান থেকে ট্রেনে চেপে মুম্বাইয়ে চলে যায়। পরে আবার তারা হাওড়ায় ফিরে আসে। সেখান থেকে পৌঁছায় দমদম স্টেশনে।
🐭এদিকে, তিন মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেন পরিবারের সদস্যরা। তারা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। নিখোঁজ বোনেদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে তারাদমদমে রয়েছে।
꧂এরপর পুলিশ সেখানে গিয়ে রবিবার তাদের উদ্ধার করে। সোমবার ২ নাবালিকাকে চাইল্ড হেল্প লাইনে হাতে তুলে দেয়। পরে দুই নাবালিকা বোনকে তোলা হয় আসানসোলের জুভেনাইল আদালতে এবং বড় বোনকে আসানসোলের মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বড় বোন প্রাপ্তবয়স্ক হলেও মেজো বোন এখনও কিশোরী। তাই তাদের বাবা নাসিমউদ্দিন খানকে দিয়ে মুচলেখা লেখানো হয় যে, মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক না হলে তাদের বিয়ে দেওয়া যাবে না। পরে তিনজনকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।