মেচেদায় ট্রেনের ক♐ামরায় ব্যবসায়ীর বাক্সবন্দি দেহ উদ্ধারকাণ্ডের অবশেষে কিনারা করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। রেল পুলিশের সাহায্যে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত তৌহিজউদ্দিন হালদারকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে তারা। মূল অভিযুক্তকে জেরা করে বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় আরও ৩ ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। গৌতম জানা, দুর্গাশংকর সেনাপতি ও প্রণব দাস নামে ৩ জনকে এদিন আদালতে পেশ করে হেফাজকে নিয়েছেন 🦩তদন্তকারীরা।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা নাগাদ মেচেদা কারশেষে ট্রেনের খালি কামরায় ১টি বিশাল ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার করেন সাফাইকর্মীরা। খুলে দেখা যায় সেটিতে রয়েছে এক প্রৌঢ়♔ের দেহ। জানা যায় তাঁর নাম হাসান আলি (৪৫)। দিঘায় একটি হোটেল লিজ নিতে পূর্ব মেদিনীপুরে এসেছিলেন কলকাতার বউ বাজারের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ী। এর পরই তদন্তকারীদের নজর গিয়ে পড়ে দালালদের ওপর।
গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৪ দালাল। তাদের ইতিমধ্যে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েও দিয়েছেন তিনি। বাকি ৬ লক্ষ টাকা দিতে পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন হাসান। যে হোটেলটি লিজ নিয়ে লেনদেন চলছিল তার মালিক গোয়েন্দাদের জানান, এক পয়সাও পান🌌নি তিনি। এখানেই গাঢ় হয় তদন্তকারীদের সন্দেহ।
কারা ট্রেনের কামরায় ট্রলি ⛎ব্যাগটি তুলল তা চিহ্নিত করতে রেল পুলিশের সাহায্যে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা শুরু করেন তদন্তকারীরা। তাতেই উঠে আসে তৌহিজউদ্দিন ওরফে রাজু হালদারের নাম। জেরায় সে জানিয়েছে, লিজের টাকা আত্মসাৎ করতেই꧙ হাসানকে খুন করেছে তারা। অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে বাকি চারজনকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।