মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে ইদানীং জাল নোটের 🌄পাচার চক্র বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে তৈরি হওয়া জালনোট উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তারপরেই পুলিশ এই পাচার চক্রের জাল গু𒁃টিয়ে নিতে তৎপর হয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই চক্রের মূল পান্ডা চারজন। এই ৪ জনই বাংলাদেশের নাগরিক। এরা হল হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিল শেখ, আলিম শেখ, মোজাম্মেল হক এবং দুরুল শেখ ওরফে দুরুল হুদা।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শুধু এ রাজ্যেই নয়, পাকিস্তানের কোড নেম ব্যবহৃত হওয়া জাল নোট পৌঁছে যাচ্ছে উত্তরে জম্মু কাশ্মীর থেকে💛 দক্ষিণে কেরল পর্যন্ত। কমপক্ষে দেশের ১৫টি রাজ্যে জাল নোটের বিস্তার ছড়িয়েছে পাচারকারীরা। ওই ৪ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেই দেশে জাল নোটের পাচার অনেকটা কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাদের মধ্যে দু'জন এ রাজ্যেই রয়েছে। আর বাকি দু'জন রয়েছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের শিবগঞ্জ থেকে থেকে তারা কাগজের বান্ডিল পাঠিয়ে দিচ্ছে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে। এরপর তা তৈরি হচ্ছে ওই সমস্ত এলাকায় এবং পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তদন্তকারীরꦗা জানতে পেরেছেন এদের মধ্যে একজনের যোগ রয়েছে লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দুরুল শেখের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন লস্করের যোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। জাল নোট কারবারের🌟 ফলে অর্জিত হওয়া অর্থ সে বহুবার কাশ্মীরে পাঠিয়েছে হাওলার মাধ্যমে। বাংলাদেশ পুল𒅌িশও তাকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছে। মালদহ-মুর্শিদাবাদে জাল নোটের মূল পান্ডা এই দুরুলই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ'র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে চারজন।