সীমান্ত এলাকায় মাটি খুঁড়ে গভীর ড্রেন করছিল বিএসএফ। আর সেখানে খেলতে গি🌠য়েই ঘটল মর🌠্মান্তিক দুর্ঘটনা। মাটিতে ধস নেমে চাপা পড়ে মৃত্যু হল ৪ শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়ার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগছ এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। একইসঙ্গে এই ঘটনার জন্য বিএসএফের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে বাঁদরের তাড়া খেয়ে পᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল শিশুর
জানা গিয়েছে, ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের ওই এল🍰াকায় এর আগেও ড্রেন ছিল। তবে সেই ড্রেন খুঁড়ে আরও গভীর করা হচ্ছিল। বিএসএফের নির্দেশে জেসিবির স🔴াহায্যে সেই কাজ করা হচ্ছিল। তখনই সেখানে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বিএসএফের জওয়ানরা তাদের উদ্ধার করে চোপড়ার দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের দাবি, বাচ্চারা খেলার সময় কোনওভাবে মাটিতে ধস নেমে যায় তখনই তারা মাটির নিচে চাপা পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে নিয়ে গিয়েও তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনার জন্য বিএসএফকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। তাদের বক্তব্য, সেখানে ৬ থেকে ৭টি বাচ্চা একসঙ্গে খেয়েছিল। বিএসএফের ড্রেন তৈরির কারণে খোঁড়া মাটিতে ধস নামে। আরও ২ জন ধসে চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএসএফ। তাদের বক্তব্য সেখানে যে মাটি ছিল সেটা ❀গ্রামবাসীদের। সেখানে ড্রেনের মাটি ছিল না। ৪ শিশু চাপা পড়েছে শুনে তারা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায🅺়। তবে তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ড্রেন গভীর করার জন্য জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়ে ট্রাক্টরে করে তা তুলে অন্য জায়গায় চাপা দিয়ে রাখা হচ্ছিল। ওই শিশুরা সেই মাটির স্তুপে খেলতে গিয়েই চাপা পড়ে মারা যায়। প্রাথমিকভাবে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ । স্বাভাবিকভাবে একই এলাকায় ৪ শিশুর মৃত্যুতে ওই গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে। একইসঙ্গে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।