তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি এলাকা। বোমাবাজির ঘটনা ঘটলো পানিহাটি পুরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অ্যাঙ্গেলস নগরের চেনামুখ ক্লাবের কাছে। পাঁচটি বোমা ফাটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় খড়দহ থানার সাব-ইন্সপেক্টর প্রণᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚব দেবনাথ-সহ ৪ জন আহত হয়েছে। তাদের সাগর দত্ত হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে খড়দহ থানার পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, ওই এলাকায় এক রন্টা মাইতি নামে এক ব্যবসায়ীর প্লাস্টিক কারখানায় তোলা চাইতে গিয়েছিল বিশু কর্মকার নামে এক দুষ্কৃতী। তার বিরুদ্ধে থানায় বহু অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে জেলেই ছিল। কিছুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। এরপরই অসামাজিক কার্যকলাপে নেমে পড়েছে। ওই ব্যবসায়ী তোলা দিতে অস্বীকার করলে তাকে হুমকি দেয় বিশু। ব্যবসায়ী এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর জয়ন্ত দাসকে জানান। তখন কাউন্সিলর থানায় ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করে। গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা পালানোর সময় পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারে। সেই সময় আহত হন ওই সাব-ইন্সপেক্টর। এছাড়াও তাদের গাড়ির ধাক্কায় আরও দু'জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন। পুলিশ🦩 সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় দুষ্কৃꦛতীরা এলাকার যুগবাণী ক্লাব লক্ষ্য করে পরপর দু'টি বোমা মারে। একটি বোমা ফাটে তবে অন্যটি ফাটেনি।
শুধু তাই নয়, পানিহাটিতে বিটি রোডের উপরে কাউন্সিলরের পার্টি অফিস লক্ষ্য করে পাঁচটি বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীদের দল। তার মধ্যে চারটি বোমা ফাটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ꦰক তৈরি হয়। বোমার আঘাতে একজন যুবক আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ পন্টাই নামে একজনকে গ﷽্রেফতার করেছে। সেইসঙ্গে ওই ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করেছে। সে ক্ষেত্রে তিনি পুলিশকে না জানিয়ে কেন কাউন্সিলরকে জানালেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান কাউন্সিলর জয়ন্ত দাসকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।