জলের বালতি সরানো নিয়ে খুনোখুনি কাণ্ড ঘটে গেল নৈহাটিতে। প্রশ্ন একটাই, জলের বালতি যেখানে ছিল সেখান থেকে সরানো হল কেন? এই নিয়েই ঝগড়া শুরু হয়। তাতে কথা কাটাকাটি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। একে অপরকে রীতিমতো হুমকি দিতে থাকে। কিন্তু হঠাৎই ছবিটা পাল্টে গেল। এই বালতি সরানোকে কেন্দ্র করে একে অন্যকে খুন করে ফেললেন। আর তা দেখে শিউরে উঠল গ্রামের মানুষ। হকি–স্টিকের আঘাতে প্রাণ গেল ১৯ বছরের কিশোরের। নৈহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের লিচুবাগান এলাকার মানুষ এই ঘটনা দেখে স্তম্ভিত।
ঠিক কী ঘটেছে নৈহাটিতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন এখানে জল ভরার জন্য সকলেই আসে। তাই বালতি দিয়ে লাইন দেওয়া হয়। তেমনি এই জল নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তখন বালতি সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর তা নিয়ে বচসা থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। পরিস্থিতি তখন সবাই মিলে থামিয়ে দিলেও প্রতিহিংসা থেকে গিয়েছিল। তারপর যে কিশোরের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল তাকে বাড়ি গিয়ে মাথায় লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তাতেই রক্তাক্ত অবস্থায মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই কিশোর। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় কিশোরকে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কিশোরের নাম বিশাল মিশ্র (১৯)। তাদের প্রতিবেশী প্রিন্স ঝা এবং তাঁর বাবা বিনয় ঝা দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। জলের বালতি সরানো নিয়ে তাদের সঙ্গেই বচসা হয়েছিল। তার জেরেই ওই কিশোর যখন বাড়িতে টিভি দেখছিল তখন আচমকা হকি–স্টিক দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। তারপর আহত বিশালকে নিয়ে যাওয়া হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও মৃত্যু হয় কিশোরের।